‘ফাঁকা মাঠে গোল’ দেওয়া আটকাতে ফের ভোটের মাঠে নেমেছি: হিরো আলম

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০০

নৌকার প্রার্থীরা যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারেন, সেটি আটকাতে আবারও তিনি ভোটের মাঠে নেমেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফেসবুক ও ইউটিউবের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘গোল যদি তারা দেয়ও তাহলে যেন একটু খেঁটেখুটে দেয়।’

হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীক নিয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

ঢাকায় যে কোনো বিপদে পড়লে তিনি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সকাছে যান উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘বগুড়ায় কেউ মারলে কিন্তু হারুন স্যার আমাকে বাঁচাবে না। ভোটের মাঠে আমি আক্রমণের শিকার হতেই পারি। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’

তিনি জানান, ‘আমার আসনের দুই থানায় এরকম কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হলে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই, এজন্য এসপি স্যারের কাছে এসেছি। কোনো সমস্যায় পড়লে তিনিই আমাকে সহযোগিতা করবেন। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে আমি নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করব।’

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট কিনা প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘এটা তো ঠিক পুলিশ জনগণের বন্ধু। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আজকে প্রথম দেখা। তাকে দেখে মনে হয়েছে সত্যিই তিনি দেশের ভালো চান। সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রার্থীরা যেমন ভোটের আগে অনেক আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোটের পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তেমনি নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের পাশে থাকার অনেক আশ্বাস দেয় পুলিশ। কিন্তু ভোটের দিন যদি খুঁজে না পাই তখন অনেক কষ্ট লাগে।’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাকে প্রধান মনে করছেন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘এবার নির্বাচনেও তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার সঙ্গেই। এছাড়া যতজনই নির্বাচনে দাঁড়াক তাদের কারও সঙ্গেই হবে না। তাদেরকে আমি ততটা গুরুত্ব দেই নাই। কারণ, নৌকার ভোট না থাকলেও তারা জোর করে ভোট করবে। এজন্য নৌকাকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছি।’

নির্বাচনের খরচ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘খরচ জনগণ দেবে। আমাকে যেসব লোক ভালোবাসে, অনেক ব্যবসায়ী আছে তারা কিছুটা সহযোগিতা করবেন। নির্বাচন করতে অনেক টাকা লাগে এটা ভুল। যেসব প্রার্থী দুর্বল তারা নির্বাচনের মাঠে কোটি কোটি টাকার চিন্তা করবে। টাকা দিয়ে ভোট কিনে মাঠে লোক নিয়ে আসবে। জনগণ কিন্তু সবাই টাকা খায় না। যারা আপনাকে ভালোবাসবে তারা কিন্তু আপনাকে ভোট দিতে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের খরচের মধ্যে কোথাও ক্যাম্পেইন করতে গেলে এক ধরণের খরচ, আবার ভোটের দিন যারা এজেন্ট আছে তারা ভালোবাসে থাকবে। এই তো খরচ। আমি তো আহামরি খরচ দেখি না।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমি জিরো থেকে হিরো হয়েছি লোকজনের ভালোবাসায়। আমার তো রূপ নেই, যৌবন নেই, শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, অনেক কিছু নেই। কেন লোকজন আমাকে এত ভালোবাসে? তাহলে অবশ্যই ভালোবাসা থাকলে টাকাপয়সা লাগে না। মানুষের ভালোবাসা এবং আমার সততা আছে বলেই আপনাদের মাঝে আমি আসতে পেরেছি।’

হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৪ জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আজ আশরাফুল হোসেন আলম এখানে এসেছিলেন। তার কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি নির্বাচনে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনি বিধি মেনে তাকে সহযোগিতা করবে।’

এর আগে চলতি বছর বগুড়ার-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই তিনি পরাজিত হন। এরপর গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হন। হারান জামানত।

তারও আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া- ৪ আসন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। যদিও পরে মারধরের শিকার হয়ে এবং ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :