শহীদ আসাদ গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।

তিনি বলেন, ‘এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।

২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে দেয়া শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এভাবে আরো অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং আহত হন’

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।

শহীদ আসাদ (বাঁয়ে), ১৯৬৯ সালে আসাদের রক্তাক্ত শার্ট নিয়ে তাৎক্ষণিক মিছিল

সরকার প্রধান বলেন, ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।

তিনি বলেন, কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে ওঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণিপেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। জনতার কঠিন রুদ্ররোষ ও গণআন্দোলনের চাপের মুখে পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।

তিনি শহীদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঝড়ের আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত

পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসির মনিটরিং টিম

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে: এডিবির আবাসিক প্রধান

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ সশস্ত্র সদস্য থাকবে: স্বরাষ্ট্রসচিব

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজন মানসম্মত তথ্য ও সমন্বিত উদ্যোগ

তীব্র গরমে ট্রেনযাত্রীদের শরবত দিলো রেলওয়ে

​​​​​​​দলীয় ও সরকারপ্রধানের নির্দেশনা অমান্য করায় বিস্মিত ইসি আহসান হাবিব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :