করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ কতটা ভয়ংকর

বহুবার রূপ পরিবর্তন করে এখনও রয়ে গেছে করোনা ভাইরাস। নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন উপধরন জেএন.১। দেশেও পাঁচজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই উপধরন। জেএন.১ আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি কম থাকলেও এর মারাত্মক দিক হলো এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের মতো এমন জনবহুল দেশে এটি আবারও মহামারির আকার ধারণ করে কী না এ নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও। ফলে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলেই পরীক্ষা করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শিগগির টিকাদান কার্যক্রম শুরুসহ আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে ইতোমধ্যেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেএন.১ উপধরনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ এর তীব্র উপসর্গ দেখা না গেলেও এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘করোনার মহামারি হয়ে গেছে। তবে নতুন উপধরনটি মহামারি আকার ধারণ করবে না এটা বিশেষজ্ঞ পর্যায়েও কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। কারণ দেশে অনেক পুরনো রোগ ডেঙ্গু। কিন্তু গতবছর ডেঙ্গু অনেক ভুগিয়েছে। তাই করোনার নুতন উপধরনটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি থাকতে হবে। এছাড়াও করোনার জেএন.১ ধরন নিয়ে দেশে খুব শঙ্কা না থাকলেও যত বেশি ছড়াবে ততবেশি মিউটেশান করে পরিস্থিতি ভয়ংকর করে করে তুলতে পারে। ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্য বিভাগগুলোরও সতর্ক অবস্থান নিতে হবে।’
করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর লক্ষণ আগের ধরনগুলোর মতোই। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ হারানো, জ¦র ইত্যাদি লক্ষণ থাকবে। তবুও ছড়িয়ে গিয়ে যাতে মহামারির রূপ না নিতে পারে সেজন্য লক্ষণ দেখার পাশাপাশি করোনার জেএন.১ উপধরনটি থেকে সুরক্ষিত থাকতে দ্রুত টিকা নেয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আব্দুল্লাহ।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আব্দুল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ ইতোমধ্যে যারা টিকা গ্রহণ করেছে তারা জেএন.১ থেকেও সুরক্ষিত থাকবে। তাই যারা এখনও টিকা নেননি তাদের অবশ্যই টিকা নিয়ে নিতে হবে। যারা টিকার একটা ডোজ নিয়েছেন তাদের বাকি ডোজগুলো নিয়ে নিতে হবে। কারণ টিকা জেএন.১ থেকেও সুরক্ষা দেবে। এছাড়া সর্দি কাশি ও জ¦র থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে করোনা পরীক্ষাটাও করিয়ে নিতে হবে। করোনার লক্ষণ থাকলে পরীক্ষা করানোর বিষয়টা জনগন ভুলেই গেছে। কিন্তু এখন করোনা পরীক্ষা করাতে হবে কারণ এটি দ্রুত ছড়ায়। ফলে দেশের জন্য অশনি সংকেত। করোনা পরীক্ষা দ্রুত করলে দ্রুত শনাক্ত হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে। ফলে আক্রান্ত রোগীর মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। এখন করোনার এই নতুন উপধরণটি জটিলতা তৈরি করে না কিন্তু এদেশে জটিলতা তৈরি করবে না এমনটা বলা যাচ্ছে না।’
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচজনের শরীরে করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ উপধরণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। চলমান যে টিকা রয়েছে সেটি এই ধরনের ক্ষেত্রে কার্যকর। এটা স্বস্তির। আবার এটাও চিন্তা করতে হবে যে, এখান থেকেও আমাদের পরিত্রাণের দরকার আছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে নিয়মগুলো আছে সেগুলোর প্রতি সুনজর দিতে হবে।’
দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
করোনার জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল ঢাকা টাইমসকে বলেন, সরকারের কাছে পরামর্শ প্রদান করেছি যে কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করা হয়। ফলে সাধারণ মানুষের যদি করোনার লক্ষন প্রকাশ পেলে সহজেই পরীক্ষা করতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার যেন আবারও প্রচারণা শুরু করে সে বিষয়েও বলা হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি দেশেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওযায় জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এরং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রত্যেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি শঙ্কায় থাকায় তাদের টিকাগ্রহণসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী,৬০বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্তান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবতী নারীদের প্রাধান্য দেবে।
এ বিষয়ে ডা. মুশতাক হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, যারা বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী ও কোমরবিডিটি অর্থাৎ অন্যান্য রোগও যাদের সঙ্গী তাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুকেও এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাই কেউ যদি কোনো প্রকার রোগ নিয়ে হাসপাতালে গেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই এই দুটো পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেয়া প্রয়োজন। বিশেষত যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের অবশ্যই পরীক্ষা করানো উচিত। পাশাপাশি টিকাও নিয়ে রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
শ^াসযন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচেছ প্রতিদিন। গত আড়াইমাসে ৬৫ হাজারের ওপর রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ বিষয়ে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন,‘এটা ফুসফুস পর্যন্ত না পৌঁছালেও নাক থেকে গলা পর্যন্ত সংক্রমণ করে। পূর্বে তো সবাইকে করোনার পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিলো। তবে এবার যাদের শুধু করোনার লক্ষণ রয়েছে তাদেরই পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। কারণ এখন তো সাধারণ মানুষ করোনার লক্ষণ সম্পর্কে অবগত আছে। এছাড়া করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ না থাকলেও চিকিৎসক যদি মনে করেন রোগীর অপারেশ করতে হবে তখন অন্য পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে করোনাও পরীক্ষা করাতে হবে এমন নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে। এখন এই নির্দেশনা ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কী না তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা নেওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি হওয়া তা নতুন উপধরণ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে যারা আগে থেকে টিকা নিয়েছে যদি করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে খুব ঝুঁকি নেই তাদের। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় না যদি সঙ্গে কোমরবিডিটি বা অন্য রোগ না থাকে। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যগত জটিলতা থেকে অনেকটা সুরক্ষিত থাকেন।’
এদিকে টিকার কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের আটটি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ তৃতীয এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল। পরবর্তী ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ফাইজার আরটিইউ ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কোডিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, মহাখালী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নয়াবাজার ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এ টিকা দেওয়া হবে।
চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, করোনার নতুন যে উপধরণটি অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে এখন দেশেও শনাক্ত হয়েছে তা একধরণের মিউটেশান। এর দুুটো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। তবে এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো আগের ধরনগুলোর মতো এত তীব্র নয়। ওমিক্রণের যে মূল ধরনটি ছিলো সেটি তীব্র ছিল এবং মৃত্যু হারও বেশি ছিল। কিন্তু নুতন উপধরনে মৃত্যুর হার অনেক কম। অর্থাৎ রোগীর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকে বা কঠিন কোনো রোগে আক্রান্ত না হয় তাহলে মৃত্যুর মতো ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু দ্রুত ছড়ায় বলে এটি একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে যে কারণে পরামর্শ থাকবে সবাইকে মাস্ক পরার মতো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হলেও এখনই সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে এখনই বিধিনিষেধ দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে না জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনার যেকোনো উপধরন ছড়িয়ে পড়ে যখন সংক্রমণ বেশি হয়। এরপরই তা শনাক্তের প্রয়োজন হয়। করোনার অনেক মিউটেশন হয়। মিউটেশন হয়ে যে ধরনটি দ্রুত আগের ধরনটিকেও ছাড়িয়ে যায় সেটি ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে ধরা হয়। এরপর ভ্যারিয়েন্ট অব আন্ডার মনিটরিং এবং পরে ভ্যরিয়েন্ট অব কনসার্ন হয়। এখনও এটি ভ্যরিয়েন্ট অব কনসার্ন হয়নি। তাই আমরা এটাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন না বলে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ বলছি। তবে আশা করছি খুব খারাপ পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবে না এই করোনা নতুন উপধরন। কারণ এটা অনেকটা মৌসুমী রোগের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেন হাসপাতালগুলো উপছে না পড়ে সেজন্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সতর্কতা রাখতে হবে। বিশেষত হাসপাতালে অধিক সর্তক অবস্থায় থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে সংক্রমণ যদি বেড়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে গেলে হয়তো আমরা পাবলিক প্লেসে কী ধরনের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। তবে আপাতত পার্সোনাল লেভেলে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যারা আছে তাদের যত্ন নেওয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় তার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন ঢাকা টাইমসকে বলেন, করোনার নতুন এই উপধরনটি চলমান যে টিকা রয়েছে সেটি গ্রহণ করলেই সুরক্ষিত থাকা যাবে। সরকার কখনোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি প্রত্যাহার করেনি। অনেকে পালন করছে না সেটি ভিন্ন বিষয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। যাদের করোনার লক্ষণ থাকবে তাদের হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর নির্দেশনা দেয়া আছে। আমরাও সারাদেশের হেলথকেয়ার ফেসিলিটিসের কাছে বলা আছে যে, যদি কেউ করোনার লক্ষণ নিয়ে আসে তাহলে পরীক্ষাশেষে স্যাম্পল সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠিয়ে দিতে হবে।’
এবিষয়ে স্বাস্থ্যবিধিসহ মাস্ক পরার প্রতিই গুরুত্ব দিচ্ছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বিশে^র বিভিন্ন দেশ ছড়িয়ে যাওয়ার পর পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে যখন পৌঁছেছিল। এখন দেশেও নতুন উপধরনটি শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এটি খুব বিপজ্জনক না তবে দ্রুত ছড়ায়। খুব বিপজ্জনক না বলতে বুঝিয়েছে এই উপধরনে আক্রান্ত হলে মৃত্যু কম হয়। এটা এক ধরনের স্বস্তি। এখন এর থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যদিও এখন স্বাস্থ্যবিধির ওপর কেউ তেমন একটা জোর দিচ্ছে না। অন্তত মাস্ক পরাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/টিএ/আরআর)

মন্তব্য করুন