হাওয়েল ঝড়ে কুমিল্লাকে সিলেটের চ্যালেঞ্জ

দশম বিপিএল থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদায় ইতোমধ্যে নিশ্চিত। তাতে প্রথম পর্বের দুটি ম্যাচ বাকি থাকলেও সেগুলো কেবল আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নিয়েছে। বাকি থাকা দুই ম্যাচের প্রথমটিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে দলটি। যেখানে গেলবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করেছে সিলেট।
বিপিএলে আজ প্রথমবার খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেলেন ক্যারিবীয় ব্যাটার কেনার লুইস। শেষ দিকে ঝড় তুললেন সিলেটের আরেক বিদেশি বেনি হাওয়েল। ছয় চার ও চার ছক্কায় তার ৩১ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সিলেটের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন কেনার লুইস ও জাকির হোসেন। শুরু থেকেই এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। প্রথম ৫ ওভারেই তুলে নেন ৪০ রান। কিন্তু এরপরের ওভারেই ঘটে ছন্দপতন। চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন ক্যারিবীয় সুপারস্টার সুনীল নারিন। সুনীল নারিনের শিকার হয়ে ১৭ বলে ১৮ রানে সাজঘরে ফিরে যান জাকির হোসেন। তারি বিদায়ে ভাঙে ৪০ রানের জুটি।
জাকির হোসেনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়েন কেনার লুইস। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান মুশফিক হাসান। মুশফিক হাসানের বলে ডিপ কাভারে জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কেনার লুইস। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ৩৩ রান।
কেনার লুইসের পথ ধরে দলীয় ৭৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ১৮ বলে ১২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
লিটন দাসের বিদায়ের পর একই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলিও। রিশাদের বলে কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসিন। তার বিদায়ে ৭৪ রানেই ৪ উইকেট হারায় সিলেট।
৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেন বেনি হাওয়েল ও মোহাম্মদ মিঠুন। এই জুটিতে ভর করে ১৪ ওভার ১ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে সিলেট। এই জুটির কল্যাণে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে সিলেট।
অবশেষে দলীয় ১৫১ রানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিকে থামান সুনীল নারিন। সুনীল নারিনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ২০ বলে ২৮ রান করা মিঠুন। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ বলে ৭৭ রানের জুটি।
মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ের পর আরিফুলকে নিয়ে জুটি গড়েন বেনি হাওয়েল। এরপরেই কুমিল্লার বিপক্ষে মাত্র ২৫ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। এই জুটির ১৩ বলে ২৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ তুলে সিলেট। বেনি হাওয়েল ৩১ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন