মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন কণ্ঠশিল্পী খালিদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৩ | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

দাফন সম্পন্ন হয়ে গেল ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহর। মঙ্গলবার জোহরের নামাজ বাদে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের এস.এম মডেল সরকারি প্রাথমিক মাঠ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে গেটপাড়া পুরাতন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাসহ হাজারো মানুষ এই জানাজায় অংশ নেন।

তবে খালিদের শেষ যাত্রায় পাশে ছিলেন না তার স্ত্রী শামীমা জামান এবং একমাত্র সন্তান ছেলে জুয়াইফা আরিফ। কারণ, গায়কের ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি স্কুলে পড়াশোনা করছেন। সেই সূত্রে সেখানেই বসবাস। খালিদের স্ত্রীও থাকেন নিউইয়র্কে ছেলে আরিফের সঙ্গে।

সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে মারা যান গায়ক খালিদ। এর কিছু সময় আগে তিনি গ্রিন রোডের বাসায় বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর পর সোমবার রাতেই গ্রিন রোডের জামে মসজিদে এই গায়কের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাতেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় খালিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে।

সোমবার সন্ধ্যার পর খালিদের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে জানান সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপক তানভীর তারেক। এ সময় মৃত্যুর খবর পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত খালিদের স্ত্রী-সন্তানের কাছেও।

এদিন সন্ধ্যায় ৫৬ বছর বয়সি খালিদ যখন ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন, সেই মুহূর্তে তার একমাত্র সন্তান ছেলে জুয়াইফা আরিফ ছিলেন নিউইয়র্কে তার স্কুলে। তখন সেখানে দিন। আরিফ ক্লাস করছিলেন। সেখান থেকেই বাবার মৃত্যুর খবর পান তিনি।

এরপর রাতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তানভীর তারেকের মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা দেন আরিফ। সেই ভিডিওতে তিনি সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন।’

গোপালগঞ্জের ছেলে খালিদের গানের জগতে পদচারণা ১৯৮১ সাল থেকে। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘চাইম’-এ। মাঝে কিছুদিন স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে একা ফিরে আসেন ঢাকাতে। স্ত্রী-সন্তানের মায়া কাটিয়ে থাকতে শুরু করেন চেনা এই শহরে।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন খালিদ। তার মধ্যে ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’উল্লেখযোগ্য।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :