মরা মুরগি বিক্রেতাকে মুচলেকায় দায়মুক্তি দিল পুলিশ

লংগদু (রাঙামাটি), ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮ | প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে অধিক মুনাফা লুফে নেওয়ার চেষ্টায় মগ্ন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী। তারা মানুষের বিশ্বাস সরলতাকে পুঁজি করে প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। ঠিক এর ব্যতিক্রম ঘটেনি লংগদুতেও। ঘটেছে মৃত মুরগির মাংস বিক্রির মতো ঘটনাও।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি পোল্ট্রিফার্মে মারা যাওয়া সব মুরগি কেটে ফ্রিজে রেখে ক্রেতাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছেন তিনি। এমনই অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের পল্ট্রি বিক্রেতা মোকসেদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোকসেদ দীর্ঘদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা করে আসছেন। অধিক তাপদাহে কিছুদিন যাবত তার মুরগিগুলো অসুস্থ মারা যাওয়ায় অগোচরে সে জবাই করে ফ্রিজে রেখে দেয়। সেখানে তা পচন ধরে যায়। সেগুলো ধুরে পরিষ্কার করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হন ক্রেতারা এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

বিষয়ে ব্রয়লার ব্যবসায়ী মোকসেদ মুঠোফোনে জানান, মুরগিগুলো যখন অসুস্থ হয়ে মারা যায়, তখন যিনি পরিষ্কার করে তাকে বলি ফেলে দিতে। কিন্তু যখন ফ্রিজ থেকে ভালো মুরগি বের করি তখন লোকজন দেখে বলে আমি মরা মুরগি বিক্রি করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ের জামাই বাড়িতে আসবে তাই দুইটা মুরগি জবাই করে ফ্রিজে রাখি। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পচন ধরে যায়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মৃত মুরগি বিক্রি করিনি।

স্থানীয় এক পাহাড়িকে আমি এমনিতেই দিয়েছিলাম। তিনি আরও জানান, মিথ্যা অভিযোগের কারণে আমাকে গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এমন কর্মকাণ্ড আর কখনো হবে না মর্মে আমাকে ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ চান মিয়া জানান, ফাঁড়ি পুলিশ তাকে মরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রয়ের অভিযোগে ধরে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে তাকে নিয়ে আসি।

গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি সত্য, আমার কাছ স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। পরে গুলশাখালী ফাঁড়ি পুলিশ তাকে অভিযোগের ভিত্তিতে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে আমাদের হেফাজতে ছেড়ে দেয়।

এদিকে পবিত্র মাসেও এমন জঘন্য কাজ করায় বিচারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় নাগরিক সচেতন মহল।

(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :