এপ্রিলজুড়ে ছিল দাবদাহের দাপট, মে মাসে স্বস্তির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৩

গোটা এপ্রিলজুড়েই ছিল দাবদাহের দাপট। তাপমাত্রা ওঠে প্রায় ৪৪ ডিগ্রি, যা ৭৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে গত ১২ দিনে অর্ধশতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর এত মৃত্যু আর দাবদাহের মধ্য দিয়ে বিদায় নিল চলতি বছরের উষ্ঞতম এপ্রিল। সবমিলিয়ে এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপে পুড়ছিল গোটা দেশ। রোদ ছিল আগুনের ফুলকির মতো।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মে মাসের শুরুতে কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে কয়েকদিন আবহাওয়া কিছুটা নমনীয় থাকতে পারে। তবে মের মাঝামাঝি থেকে আবারও দুই থেকে তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এপ্রিলে নয়টি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি। তবে পুরো মাসে তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩৪ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এর মধ্যে ২২ এপ্রিলের পর খুলনা বিভাগ হয়ে ওঠে সবচেয়ে উত্তপ্ত। চুয়াডাঙ্গা, যশোর, বাগেরহাটে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।

অন্যদিকে তীব্র রোদ প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষ।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ . আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৯২ সালের এপ্রিলে টানা ৩০ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায় রাজশাহী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গায়। তবে বছর এপ্রিলে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের বিস্তার ঘটে সারা দেশে। ৭৬ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম এপ্রিলে এতটা সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলে গড়ে কালবৈশাখী হয় নয় দিন। অথচ ২০২৩ সালে ঝড় হয়েছে সাতটি, ২০২১ সালে আটটি, ২০১৪ সালে চারটি, ২০০৯ সালে চারটি, ২০০৪ সালে একটি। ১৯৯৯ সালে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় চারটি এবং ১৯৯২ সালে ঝড় হয়েছে পাঁচটি। বছর এখন পর্যন্ত মাত্র একটি বড় ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/আরআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :