দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্ভাবনের খোঁজে শুরু হলো ‘ডিজাস্টার হ্যাকাথন’
উদ্ভাবনীর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলাকে আরও সহজ করতে শুরু হলো ‘ডিজাস্টার হ্যাকাথন’। এর ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন নতুন কলাকৌশল।
বুধবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো ‘ডিজাস্টার হ্যাকাথন’-এর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অফিস সংলগ্ন আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি ভিসি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “বৈশ্বিক ইস্যু জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার বাংলাদেশ। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যার মতো দুর্যোগের কবলে পড়তে হয় বাংলাদশকে। ফলে জীবন, সম্পদ এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হয় দুর্যোগ কবলিত বাসিন্দাদের।”
‘ডিজাস্টার হ্যাকাথন’ এর মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কৌশল বেরিয়ে আসলে, তা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন ঢাবি ভিসি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হাফিজা খাতুন জানান, ডিজাস্টার হ্যাকাথন-১ প্রতিযোগিতায় ৩৫টি গ্রুপের মধ্যে ২টি গ্রুপ অংশ নিয়ে অষ্টম হয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ডিজাস্টার হ্যাকাথন-২ এর মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণ শিক্ষার্থীরা ভালো ভূমিকা রাখব বলে আশা করেন তিনি।
স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাজিদ রায়হানের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন, ফোরওয়ার্ন বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল হক।
তিনি বলেন, “ডিজাস্টার হ্যাকাথন হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নতুন কৌশল উদ্ভাবনের এক প্রতিযোগিতা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত, যেখানে সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের। এরপর ১ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূল্যায়ন, ট্রেইনিং ও মেনটরিং করা হবে রেজিস্ট্রেশন করা ২৫টি টিমের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে ৫টি টিম। প্রতি টিমের সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে ৫ জন। অক্টোবরের শেষে ৫টি টিমকে ৪ দিনের আবাসিক ট্রেইনিং ও মেনটরিং করা হবে। ৩১ অক্টোবর নাগাদ তাদের মধ্য থেকে বিজয়ী করা হবে ৩টি টিমকে। পরবর্তীতে বিজয়ী টিমগুলোকে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে তাদের উদ্ভাবিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কৌশল।”
অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, স্টার্ট নেটওয়ার্ক সিইও ক্রিস্টিনা বেনেট, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান, বুয়েট অধ্যাপক ড. আনিসুল হক প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমআই/এফএ)