আইসিসির বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ভারতের ৬, নেই দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটার
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারের আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। বিশ্বকাপ শেষে টুর্নামেন্টের সেরা দল প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইসিসির বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। শিরোপাধারী দলটির ছয়জন খেলোয়াড় সুযোগ পেলেন টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে।
তবে রানার্সআপ হওয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো খেলোয়াড় এতে নাম লেখাতে পারেননি। এছাড়া সুপার এইটে খেলা বাংলাদেশের কারও জায়গা হয়নি। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলা আফগানিস্তানের একাধিক খেলোয়াড় এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন করে ক্রিকেটার রয়েছেন টিম অফ দ্য টুর্নামেন্টে। সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি এই দলে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শমা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শ্বদ্বীপ সিং। অবশ্য ফাইনালের সেরা হয়েও বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি বিরাট কোহলির।
আর আফগানিস্তানের হয়ে সুযোগ পেয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি। বাকি দু’জন হলেন- ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান ও অস্ট্রেলিয়া মার্কাস স্টয়নিস। দ্বাদশ ব্যক্তি হলেন- দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার এনরিক নরকিয়া।
ঘোষিত একাদশে জায়গাই হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের। এমনকি অতিরিক্তের তালিকায়ও নেই কেউ।
আইসিসির পক্ষে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ গঠনের দায়িত্বে ছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার ভারতের হার্শা ভোগলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইয়ান বিশপ, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টার কাস নাইডু এবং আইসিসির ক্রিকেটবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ:
১. রোহিত শর্মা (ভারত): ৮ ম্যাচে ৩৬.৭১ গড়ে ২৫৭ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৫৬.৭০। হাফ-সেঞ্চুরি ৩টি।
২. রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান): ৮ ম্যাচে ৩৫.১২ গড়ে ২৮১ রান। স্ট্রাইক-রেট ১২৪.৩৩। হাফ-সেঞ্চুরি ৩টি।
৩. নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ৭ ম্যাচে ৩৮.০০ গড়ে ২২৮ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৪৬.১৫। হাফ-সেঞ্চুরি ১টি।
৪. সূর্যকুমার যাদব (ভারত): ৮ ম্যাচে ২৮.৪২ গড়ে ১১৯ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৩৫.৩৭। হাফ-সেঞ্চুরি ২টি।
৫. মার্কাস স্টাইনিস (অস্ট্রেলিয়া): ৭ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ৪২.২৫ গড়ে ১৬৯ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৬৪.০৭। হাফ-সেঞ্চুরি ২টি। ৬ ইনিংসে ১০টি উইকেট। ইকনমি-রেট ৮.৮৮।
৬. হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত): ৮ ম্যাচের ৬ ইনিংসে ৪৮.০০ গড়ে ১৪৪ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৫১.৫৭। হাফ-সেঞ্চুরি ১টি। ৮ ইনিংসে ১১টি উইকেট। ইকনমি-রেট ৭.৬৪।
৭. অক্ষর প্যাটেল (ভারত): ৮ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ২৩.০০ গড়ে ৯২ রান। স্ট্রাইক-রেট ১৩৯.৩৯। ৮ ইনিংসে ৯টি উইকেট। ইকনমি-রেট ৭.৮৬।
৮. রশিদ খান (আফগানিস্তান): ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট। বোলিং গড় ১২.৭৮। ইকনমি-রেট ৬.১৭। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৪ উইকেট।
৯. জসপ্রীত বুমরাহ (ভারত): ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট। বোলিং গড় ৮.২৬। ইকনমি-রেট ৪.১৭। সেরা বোলিং ৭ রানে ৩ উইকেট।
১০. আর্শদীপ সিং (ভারত): ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট। বোলিং গড় ১২.৬৪। ইকনমি-রেট ৭.১৬। সেরা বোলিং ৯ রানে ৪ উইকেট।
১১. ফজলহক ফারুকি (আফগানিস্তান): ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট। বোলিং গড় ৯.৪১। ইকনমি-রেট ৬.১৩। সেরা বোলিং ৯ রানে ৫ উইকেট।
১২. এনরিক নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা): ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট। বোলিং গড় ১৩.০৪। ইকনমি-রেট ৫.৭৪। সেরা বোলিং ৭ রানে ৪ উইকেট।
(ঢাকাটাইমস/০১ জুলাই/এনবিডব্লিউ)