ক্যানসার দূরে রাখে পেঁয়াজকলি! কমায় অ্যাজমার কষ্ট

পেঁয়াজ তো প্রতিদিনই খাচ্ছেন নানা ভাবে। কিন্তু পেঁয়াজকলি শেষবার ঠিক কবে খেয়েছেন মনে পড়ছে কি? যদি মনে না পড়ে তাহলে নিজের অজান্তেই একটি অত্যন্ত উপকারী খাবারকে এতদিন দূরে সরিয়ে রেখেছেন। তাই তড়িঘড়ি নিজের ভুল শুধরে এই খাবারকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।
বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই পেঁয়াজকলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং ফোলেটের মতো উপকারী সব উপাদান। এছাড়া এতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ঘাতক সব অসুখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মরণব্যাধি ক্যানসারকে দূরে দূরে রাখে পেঁয়াজকলি। আরও কী কী রোগের জম এই খাবার জেনে নিন।
ক্যানসার থাকবে দূরে দূরে
ক্যানসারের মতো একটি জটিল অসুখ থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা যায় ততই ভালো। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পেঁয়াজকলি। নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদান খেলে ক্যানসার কোষের বাড়বাড়ন্ত রুখে দেয়া যাবে।
বিশেষ করে, পাকস্থলীর ক্যানসারকে দূরে রাখার কাজে পেঁয়াজকলির জুড়ি মেলা ভার। তাই নিজেকে কর্কট রোগের করাল গ্রাস থেকে দূরে রাখতে চাইলে এই সবজির নানা পদ খেতে ভুলবেন না যেন!
ফাইবারের ভাণ্ডার
এক কাপ পেঁয়াজকলি খেলেই আপনার দেহের দৈনিক ফাইবারের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ মিটে যাবে। দেহে ফাইবারের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারলেই একাধিক ছোট-বড় অসুখের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বিশেষ করে, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাড প্রেশার ও হাই সুগার বা ডায়াবেটিসের মতো জটিল অসুখকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তাই এ ধরনের জটিল রোগকে কাবু করতে চাইলে প্রতিদিনকার পাতে পেঁয়াজকলির পদ রাখতেই পারেন। এতেই মিলবে উপকার।
ইনফেকশনের কাম তামাম
আমাদের চারপাশে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাজানো সংসার। একটু সুযোগ দিলেই এই সব জীবাণু দ্রুত গতিতে শরীরের উপর আক্রমণ চালাতে ওস্তাদ। তাই এই সব মাইক্রোঅর্গানিজম নিয়ে সদা সচেতন থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত পেঁয়াজকলি খেলে কিন্তু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের প্রভাব থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা যায়। বিশেষত, সালমোনেল্লা এবং ই কোলির মতো জীবাণুকে ধ্বংস করার কাজে এর জুড়ি নেই।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের খনি
পেঁয়াজকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রেয়েন্ট। এই উপাদানই কিন্তু সেল ড্যামেজ বা কোষের ক্ষতি আটকায়। এমনকি দেহে উপস্থিত ক্ষতিকর সব পদার্থকে দূর করে দেয়ার কাজেও সিদ্ধহস্ত এই উপাদান।
ফলে নিয়মিত পেঁয়াজকলি খেলে হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারসহ বিভিন্ন ক্রনিক অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তাই প্রতিদিনের পাতে পেঁয়াজকলির পদ রাখার চেষ্টা করুন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।
অ্যাজমার কষ্ট কমবে
ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা হলো অ্যাজমা। এই অসুখে আক্রান্তের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। তবে ভালো খবর হলো, এই সমস্যাকে প্রশমিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেঁয়াজকলি।
এই সবজির রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। ফলে প্রদাহ দূর করার কাজে এই সবজির বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই অ্যাজমার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত এই পেঁয়াজকলি খেলেই ভালো থাকবেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এজে)

মন্তব্য করুন