সাভারে শিক্ষার্থী, পুলিশ ও আ.লীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ১

ঢাকার সাভারে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ইয়ামিন (২০) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শতাধিক শিক্ষার্থী।
নিহত ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পাকিজা টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন ইউটার্নে সংঘর্ষ শুরু হয়।
দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। এসময় শিক্ষার্থী ইয়ামিন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা মোড় এলাকা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে সাভার থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এসময় ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে আশুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ বেশকিছু পথচারী আহত হন। হামলাকারীরা কয়েকজন পথচারীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন