গজারিয়ায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে নয় গ্রাম

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ড্রেজার দিয়ে মেঘনা নদীর তীরঘেঁষে চলছে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন। এতে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে ইমামপুর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম। স্থানীয়রা ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে হোগলাকান্দি গ্রামে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশ স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় লোকজন বলেন, বালুমহাল ইজারার নিয়ম না মেনে ইজারাদার নদীর তীরঘেঁষে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বেরি মোল্লা কান্দি, বড় কালিপুর ও মল্লিকের চরসহ আশপাশের ৯টি গ্রামের নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি।
তারা করেন, সম্প্রতি জেলার গজারিয়া উপজেলার ইউনিয়নের বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। রাজধানীর দিলকুশার ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেঘনায় বালু উত্তোলনের কাজ দেখভাল করে আসছেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। শেখ হাসিনার পতনের পর জিন্নাহ আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মহন মিয়াজী।
এ বিষয়ে মহন মিয়াজী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি। বালু মহলের সঙ্গে আমি জড়িত নই। বালু মহাল ইজারাদারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। একটি পক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/পিএস)

মন্তব্য করুন