অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় উঠতে যাচ্ছে ৮ প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৬ | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৬

পাঁচ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার ‘ভূমি অধিগ্রহণ’ শীর্ষক সংশোধনী প্রকল্পসহ আট প্রকল্প উঠতে যাচ্ছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। পরিকল্পনা কমিশনের একনেক উইংয়ের একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথম একনেক সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, “এ সভা ১৮ তারিখে হবে। তবে এবার এটি উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ আমাদের কমিশনে এর আয়োজন করতে হলে যে চিঠির প্রয়োজন আমরা এবার সেটা পাইনি।”

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ‘ভূমি অধিগ্রহণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালে অনুমোদন দেয় একনেক।

এ প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হয়নি।

পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলেও ব্যয় বাড়ানো হয়নি। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

তাতেও কাজ না এগোলে পুনরায় দুই বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় ২২৩ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় হাজার ৫০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

পরে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করে প্রকল্প ব্যয় পাঁচ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করে একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য সুপারিশ করে।

সংশোধনী প্রস্তাবনার নথি থেকে জানা যায়, বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, সার্ভে ও ইউটিলিটি স্থানান্তর খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাস্তবায়ন মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ৩০২.৭০ একরের পরিবর্তে ৮৬০.৬২২ একর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য চার হাজার সাত কোটি ৭২ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া ইউটিলিটি খাতে ১৭৩ কোটি এবং সার্ভে খাতে এক কোটি ২০ লাখ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/টিটি/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :