মায়ামি ছাড়তে পারেন মেসি! পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?
মায়ামি জার্সিতে হয়তো আর মাত্র এক মৌসুম দেখা যেতে পারে মেসিকে। এরপরেই মেজর লিগ সকার অধ্যায়ের ইতি টানতে পারেন এই ফুটবল ক্ষুদে জাদুকর। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেভিড ব্যাকহামের ক্লাবটির সাথে চুক্তি হয়েছিলো লিওনেল মেসির।
সুতরাং মাত্র এক মৌসুম মায়মির জার্সিতে মাঠ মাতাতে পারেন মেসি। এরপরেই আমেরিকা ছেড়ে পাড়ি জমাতে পারেন অন্য কোথাও। তবে কোথায় হবে সেই গন্তব্য?
২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। আড়াই বছরের চুক্তি ছিল তার। আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তি বাড়ানোর বিষয়ে এখনও ইন্টার মায়ামির সঙ্গে কথা বলেননি মেসি। তিনি মায়ামি ছাড়তে পারেন। ফিরতে পারেন আর্জেন্টিনায়।
নিজের ফুটবল জীবন আর্জেন্টিনার ক্লাব নিউওয়েল ওল্ড বয়েজে শুরু করেছিলেন মেসি। সেখানেই প্রথম নজরে পড়েন তিনি। তারপর সেখান থেকে চলে যান লা মাসিয়া একাডেমিতে। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষে আবার নিজের ছোটবেলার ক্লাব নিউওয়েলে ফিরতে পারেন মেসি। সেখানে খেলে ক্যারিয়ারের শেষ করতে পারেন এই মহা তারকা।
মেসির আমেরিকা ছাড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, ২০২৬ সালে আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। তার আগে সে দেশে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার জন্যই মেসিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অনেকের মত। মেসি মায়ামিতে যোগ দেয়ার পরে সেই ক্লাবকে ট্রফি দিয়েছেন। পাশাপাশি মেজর সকার লিগের দর্শকের সংখ্যাও বেড়েছে। বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত স্পনসরদেরও লাভ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আগে মেসি আমেরিকা ছাড়লে সে দেশের ফুটবলের ক্ষতি হবে। তাই ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব মেসির সঙ্গে চুক্তি আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মেসি যে আর্জেন্টিনায় ফিরতে চান তা ২০১৬ সালের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি তাকে সংশয়ে রেখেছিল। মেসি বলেছিলেন, ‘যদি আমাকে এক দিন পরেই আর্জেন্টিনা যেতে হয়, আমি রাজি। নিউওয়েলের হয়ে এখনও খেলতে চাই। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ। ওরা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে সেটাই আমি চাই। আমাদের দেশের অবস্থা এখনও খুব খারাপ। রাস্তায় বেরালে ছিনতাই হচ্ছে। কেউ কাউকে খুন করে দিচ্ছে। সেখানে আমার সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে ভাবতে হবে।’
২০২২ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরে সে দেশের পরিস্থিতি অবশ্য বেশ কিছুটা বদলেছে। ফুটবলের হাত ধরে দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য এসেছে। আর্জেন্টিনার আর্থিক পরিস্থিতি এখন আগের থেকে ভালো। তাই হয়তো মন বদলেছেন মেসি। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি নিজে কিছু বলেননি।
(ঢাকাটাইমস/২৪ সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ)