হত্যা মামলায় জামিন পেলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাস কবির
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোহাম্মাদপুর থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আক্তার হোসেন (২৬) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানি শেষে জামিন পান তিনি। ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের মেয়ের জামাই।
আক্তার হোসেন (২৬) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৮ নম্বর এ আসামিকে সোমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে আদালতে হাজির করার আবেদনে বলেন, উক্ত আসামি অত্র মামলার এজাহার নামীয় ৮নং আসামি। মামলার বাদী অভিযোগ করেন যে, ২০২৪ সালের ৫ জুনের পর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা আরোপ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে সারাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ২০২৪ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের 'রাজাকার সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন। ৫ আগস্ট সকাল অনুমান সাড়ে ৯টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ের সামনে রাস্তার ওপর বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণ করা হয়। বাদীর ছেলে মোহাম্মদ আক্তার হোসেন (২৬) ওইদিন সকাল ৯টায় বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ে মিছিল করার সময় সাড়ে ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় অজ্ঞাত লোকজন তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকাতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। ডিবি টিমের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা অভিযান পরিচালনা করে গত ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টায় এ আসামিকে তার নিজ বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আসামিকে মামলা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামির দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে তিনি এজাহার নামীয় আসামি হইলেও মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিতির বিষয়ে মৌখিক ও তথ্য প্রযুক্তিগত পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। ইহা আদালতের অবগিতর জন্য দাখিল করা হইল।
আসামি পক্ষে আইনজীবী শাহরিয়ার আহমেদ জামিনের আবেদন করে বলেন, ঘটনার সময় আসামি শ্রীলংকায় ছিলেন। হয়রানির জন্য মামলার এজাহারে তার নাম দেয়া হয়েছে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই। শুনানি শেষে আদালত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে মামলার এজাহারে আসামি সৈয়দ সাদাত আলমাস কবিরের পরিচয়ে তিনি সাবেক সভাপতি বেসিস ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সহযোগী ও অর্থের যোগানদাতা মর্মে উল্লেখ আছে।
ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/ইএস