বগুড়ায় ফুলকপির কেজি ২ টাকা! বিপাকে কৃষক

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৬| আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৬
অ- অ+

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে পাইকারি সবজির দর নেমেছে তলানিতে। এক কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ টাকায়। মাথায় হাত কৃষকের, উঠছে না উৎপাদন খরচ।

দেশের অন্যতম বড় সবজির হাট বগুড়ার মহাস্থান হাট। এ হাটের পাইকারি বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৪ টাকা কেজিতে। দিন কয়েকের ব্যবধানে তলানিতে ঠেকেছে সব ধরনের সবজির দাম। এতে লাভের আশায় শীতকালীন সবজির চাষ করে এখন বিপাকে কৃষক।

মূলত উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসায় দাম একেবারে কমে গেছে। আবাদের খরচ না উঠলেও বাধ্য হয়ে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।

কৃষকরা বলেন, সবজির পাইকারি বাজারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দাম। ফুলকপি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা ও মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি। এছাড়াও বাঁধাকপি, মিষ্টি লাউ, শিম ও বেগুনসহ সব রকমের শীতকালীন সবজি ১০ থেকে ২০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ফুলকপি বিক্রি করতে আসা কৃষক জিহাদ হাসান বলেন, ফুলকপি জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত নিয়ে আসতে কেজি প্রতি যে খরচ সেই টাকাও আমরা পাচ্ছি না। ফুলকপির মতো সবজি মাত্র ২ থেকে ৪ টাকা কেজিতে কখনো বিক্রি হতে পারে?

আরেক কৃষক আসমত আলী বলেন, প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে ফুলকপি চাষ করে। কাউকে বলতেও পারছি না সহ্যও করতে পারছি না। কৃষকদের জ্বালা কেউ বোঝে না।

অন্য ব্যাপারীরা বলছেন, লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরও। পাইকারি বাজারে গড়ে সবজির দাম ৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। যেখানে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি ও মুলা। সবজি ব্যাপারী আরিফ জামান বলেন, দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসাতে ধস নেমেছে। কেজিপ্রতি আগে ভালো লাভ থাকলেও এখন গায়ে গায়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে মহাস্থান পাইকারি বাজারে ফুলকপি ও মুলা ২ থেকে ৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও পাশের খুচরা বাজারে হাত বদলেই তা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। অথচ এখানে নেই কোনো চাঁদাবাজি বা পরিবহন খরচের অজুহাত।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল হান্নান জানান, এই উপজেলায় এবার কপির চাষ বেশি হয়েছে। ফলে বাজারে ফুলকপির সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা কম। আর ক্রেতা কম থাকায় বাজারে সবজিটির দাম পড়ে গেছে।

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, আমরা কৃষকদের সবসময় আগাম সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিই। তাতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আর ভরা মৌসুমে সবাই একসাথে সবজি চাষ করলে একই সাথে হারভেস্ট হয়। যার কারণে বাজারে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়। ফলে দাম একটু কম হয়।

(ঢাকা টাইমস/০২জানুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা