বোয়ালমারীতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে দিল ছাত্র-জনতা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় অবস্থিত 'বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ’ পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থিত নৌকায় বসা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের দিন একটি স্তম্ভের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আংশিক ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা। এবার কাঠামো ছাড়া সব কিছু ভেঙে ফেলা হলো।
জানা যায়, ২০১৪ সালে তৎকালীন ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান শহরটির সৌন্দর্য বর্ধন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি সংরক্ষণে পৌর সদরের ব্যস্ততম স্থান চৌরাস্তায় স্তম্ভটি নির্মাণের কাজ হাতে নেন। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় এটির নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ’।
ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়া জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ এ মাটিতে এখনো শুকায়নি। অথচ পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনা ভারতের মাটিতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সেখানে বসে এদেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অনলাইনে ভাষণ দেওয়ার দুঃসাহসের প্রতিবাদে এই ভাঙচুর।’
উপজেলা ছাত্রদল নেতা বোরহান হোসাইন বলেন, ‘আমরা এ দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া শেকড় উপড়ে ফেলবো। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ছায়াও এদেশে থাকবে না। যদি কোনো শক্তি ফ্যাসিস্টের পক্ষ নেয় তাকেও উপড়ে ফেলা হবে। আওয়ামী লীগের কোনো স্থাপনা এদেশে রাখা হবে না। প্রয়োজনে আমরা লংমার্চ টু টুঙ্গিপাড়া কর্মসূচি নিবো।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম রসুল ঘটনা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বোয়ালমারী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন