বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খোলা হবে আজ, যেসব অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তা বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন। এই ৩৫ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে তাদের সম্পদ পরীক্ষা করবে সংস্থাটি। রবিবার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে লকার খোলার অনুমতি দেন। এরও আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে এসব কর্মকর্তার লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।
জানা গেছে, আজ দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এসব লকার খুলে অর্থ ও সম্পদের তালিকা তৈরি করবে। পরে তা আদালতকে জানানো হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে চার কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করে। এর পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।
সূত্রে জানা গেছে, দুদক সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। এছাড়া নজরদারিতে রয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, জোবায়ের হোসেন, রুবেল চৌধুরী, লেলিন আজাদ পলাশ, উপমহাব্যবস্থাপক তরুণ কান্তি ঘোষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, এ বি এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক হামিদুল আলম সখা, সহকারী পরিচালক মো. কাদের ও সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।
দুদকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, খুরশিদ আলম, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, সাবেক উপপরিচালক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্ত) সিকদার লিয়াকত। এছাড়াও রয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তিন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই যুগ্ম পরিচালক ও এক উপপরিচালক।
(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এফএ)

মন্তব্য করুন