আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৯
অ- অ+

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই পর্দা উঠছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ২০১৭'তে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রিকেট সমর্থকদের। ৮ বছর বাদে আবারও মাঠে গড়াবে এই মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি ইভেন্টটি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসর বসবে পাকিস্তানে। আর এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির কোনো ক্রিকেট ইভেন্ট হতে যাচ্ছে প্রায় তিন দশক পর। যে কারণে আসন্ন টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে মহাযজ্ঞ চলছে পাকিস্তানে। মাঠ সংস্কার থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা—প্রতিযোগিতা আয়োজনে চেষ্টার যেন কোনো কমতি রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

আসন্ন টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে অনুমতি দিয়েছে দেশটির মন্ত্রীসভা। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী–রেঞ্জার্স মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পুলিশ এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন নিরাপত্তায়।

এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়ায় বারবার বলা হচ্ছিল, এখনো সংস্কার কাজ শেষ হয়নি ভেন্যুগুলোর। সেই সংশয় কাটিয়ে লাহোর স্টেডিয়াম উন্মোচন করেছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সেখানে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজও। পাকিস্তান বৈশ্বিক এই আসর আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসীন নকভী।

ইভেন্টের নিরাপত্তায় দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল পিসিবি। সেখান থেকে মিলেছে গ্রিন সিগনাল। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এ প্রস্তাবের। দেশটির সংবিধানের ২৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে যৌথ বাহিনী নামানোর অনুমতি দিয়েছেন তারা। যেখানে নেতৃত্বে থাকবে দেশটির সেনাবাহিনী। আর তাদের অধীনে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে রেঞ্জার্সদের হাতে। সঙ্গে আলাদা আলাদা রাজ্যে নিজস্ব পুলিশ এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন নিজ নিজ দায়িত্বে। যা পিসিবির সঙ্গে বসে ঠিক করবে রাজ্য সরকার।

এরই মধ্যে লাহোরের গাদ্দাফিতে নিরাপত্তা ড্রিল সম্পন্ন করেছে দেশটির আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। কোন ধরণের সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনা ঘটলে কত দ্রুত সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নেয়া সম্ভব তা ড্রিলের মাধ্যমে পিসিবিকে দেখিয়েছেন তারা। ক্রিকেটার এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তায় কোন কমতি রাখতে চায়না পিসিবি।

তবে, এ ধরণের বন্দবোস্ত এবারই নতুন, তা কিন্তু নয়। পিএসএল কিংবা যে কোন আন্তর্জাতিক সিরিজ চলাকালীনও কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে স্টেডিয়াম, টিম হোটেল এবং চারপাশের এলাকা। বিশেষ বিবেচনায় জেড সিকিউরিটিও দেয়া হয় অনেক দলকে। শেষবার বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর চলাকালীন এ ধরণের নিরাপত্তার মধ্যেই ছিল টাইগাররা।

এবারের আসরে মোট তিনটি শহরে ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে পিসিবি। লাহোর-করাচী ছাড়াও খেলা হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের দুটো ম্যাচই হবে পিন্ডি স্টেডিয়ামে। তবে, পাকিস্তানের জন্য বড় দুশ্চিন্তা ছিল গাদ্দাফী এবং করাচী স্টেডিয়াম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে পিসিবিকে। তবে, কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সব আয়োজন চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পিসিবি প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি।

(ঢাকাটাইমস/১০ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওপারে কারফিউ, সুনামগঞ্জের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান
খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখলের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা