সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা

সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এদিন ঢাকায় তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবার সম্মেলনে ৩৫৪টি প্রস্তাব উঠছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। গত বছরের মতো এবারও সম্মেলনের মূল ভেন্যু ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের মুক্ত আলোচনা হবে। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। রাতে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ। তিনি জানান, সম্মেলন সামনে রেখে এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৪টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এছাড়া এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে পাওয়া এক হাজার ২৪৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৩৫৪টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব জানান, যেসব প্রস্তাব পাওয়া গেছে, এর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন কানুন বা বিধিমালা সংশোধন জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংশ্লিষ্ট ২৮টি।
“সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন”- জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলোকে আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এবার সম্মেলন হচ্ছে একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হবে একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে, যেখানে জুলাই অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফল লাভ হলো, সেই বিবরণ থাকবে সেখানে। এছাড়া বিপ্লবোত্তর আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও শুরুতেই তোলা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এফএ)

মন্তব্য করুন