নিখোঁজ স্কুলছাত্রী উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর, অতঃপর যা ঘটলো

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কয়েক ঘণ্টা পর আত্মহত্যা করেছে সে। প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চরপার্বতী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী পাড়ার পাখি মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল থেকে ইয়াসমিন নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। রাতে নিজের বাড়িতে না গিয়ে নানার বাড়িতে যায় ইয়াসমিন। সেখানে নানার পরিবারের সদস্যদের অজান্তে গভীর রাতের দিকে শয়নকক্ষে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে পরিবারের লোকজনের সাথে ইয়াসমিনের মনোমালিন্য চলছিল। ওই ঘটনার জেরে সে আত্মহত্যা করছে বলে ধারণা তাদের।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন মনোমানিল্য থেকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/০৪মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন