পুলিশকে অপহরণ করে ডাকাতদলের পলায়ন! অতঃপর যা ঘটলো

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ-সিলেট সড়ক থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। তবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ডাকাতি করার উদ্দেশে গভীর রাতে সুনামগঞ্জের মদনপুর দিরাই সড়কে ট্রাক নিয়ে অবস্থান করছিল ডাকাতদল। অপর দিকে সড়কের নিরাপত্তায় টহলে ছিল দিরাই থানা পুলিশ। দাঁড়িয়ে থাকা সেই ট্রাকে অবস্থান নিয়ে সন্দেহ হলে কী আছে তা খতিয়ে দেখতে ট্রাকের কাছে যায় পুলিশ সদস্য মামুন।
এত রাতে কেন দাঁড়িয়ে আছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর না দিলে ট্রাকে উঠে পড়েন পুলিশ সদস্য মামুন। তখনই ডাকাতরা পুলিশ সদস্যকে নিয়েই ট্রাকটি চালানো শুরু করে। তৎক্ষণাৎ টহল গাড়ি নিয়ে পেছনে ছোটে পুলিশের গাড়ি। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না।
এক পর্যায়ে মদনপুর মোড় পার হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে ছুটতে থাকে সিলেটের দিকে। বিষয়টি জানানো হয় শান্তিগঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে রাস্তায় আগে থেকেই চেকআপ বসিয়েছিল তারা। পুলিশকে নিয়ে আসা ট্রাকটি শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এসে একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দেয়।
তবে সৌভাগ্যক্রমে প্রাইভেটকারের যাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এ সময় ট্রাক থেকে পালাতে গিয়ে আহত হয় চালক ও তার সহকারী। তখনই তাদের আটক করা হয়।
পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আহত ও আটককৃতরা একটি ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। ট্রাকটি তারা ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে। তাদের সাথে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী।
তিনি জানান, দিরাই থানার মামুন নামের এক কনস্টেবলকে নিয়ে ডাকাতরা পালাতে গিয়ে একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দেয়, এরপরও পালাতে পারেনি। পালাতে গিয়ে তারা দুজনেই কিছুটা আহত হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
ওসি জানান, ‘দুই ডাকাতকে আটক দেখানো হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র ও ব্যবহৃত ট্রাকটি আমরা জব্দ করেছি। তাদের নাম-পরিচয় জেনে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পুলিশ সদস্য মামুনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুস্থ আছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এজে)

মন্তব্য করুন