তাড়াশে রসুনের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষক

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
  প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৯| আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৮
অ- অ+

শস্যভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন রসুনের ঘ্রাণ। চলতি বছরে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে বাজারে চড়া মূল্য পাওয়ায় কৃষকেরা বেজায় খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৭০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রসুন চাষ হয়েছে ৪৭৫ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চরহামকুড়িয়া, চরকুশাবাড়ী, নাদোসৈয়দপুর, ধামাইচ, সবুজপাড়া, বিন্নাবাড়ী, দিঘী সগুনা, কুন্দইল, ধামাইচ এলাকার মাঠে মাঠে রসুন তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পুরুষের পাশাপাশি রসুন তোলার কাজে নারীরাও সহযোগিতা করছেন।

হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক সাব্বির আহমেদ বলেন, এ বছর বীজ রসুনের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, বপন, হাল চাষ, নিড়ানি ও অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে রসুন উৎপাদন হয়েছে কমপক্ষে ৩৫-৪০ মণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য এক লাখ ৪০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও কৃষকের লাভ হয়েছে তিনগুণ। ফলে কৃষকেরা রসুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। রসুনচাষি আতাব আলী বলেন, প্রায় চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে রসুন আবাদ করেছি। এতে বিঘাপ্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। তবে এবার ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে ৪ হাজার টাকা মণ দরে রসুন বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যেমতে, শীতের শুরুতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের ভেজা মাটি রসুন চাষের জন্য উপযোগী। দিনে দিনে চলনবিল অঞ্চলে বিনা চাষে রসুনের আবাদ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খরচ কম, ফলন ভালো ও লাভের পরিমাণও বেশি, তাই তারা রসুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। শুধুমাত্র তাড়াশেই প্রতি বছর ৪৭৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ তিনগুন। এদিকে বিনা চাষে রসুন আবাদ করলেও সার-বীজ-কীটনাশক দিয়ে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো হয়। আর বিঘাপ্রতি গড়ে ৩৫ মণ রসুন উৎপাদন হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি, বর্তমানে বাজার দরের চেয়ে আরও দাম বাড়বে। এসব রসুন দেশের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করবে।

(ঢাকা টাইমস/০৭এপ্রিল/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা