পাঁচবিবিতে ছাত্রদল নেতাকে গুলি, যুবক আটক, রিভলবার উদ্ধার 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০| আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫
অ- অ+

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে নেতাদের সঙ্গে বসে দলীয় আলোচনা করছিলেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন মন্ডল। তখনই দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন যুবক এসে ফিল্মি স্টাইলে শামীমকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে ২/৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তবে তাদের ছোঁড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে প্রাণে বেঁচে যান ছাত্রদল নেতা ও তার সহযোগীরা। পরে যুবকদের পাল্টা ধাওয়া করলে একটি রিভলবারসহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া একজন যুবককে আটক করে জনতা। এসময় অন্য পাঁচজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানা হেফাজতে নেয় । সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত যুবক হলেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কুষ্টপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে কোয়েল (২৮)। বর্তমানে তিনি পুলিশ প্রহরায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পহেলা বৈশাখে সারাদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষ করে রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেন, পৌর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ সজল ও বায়েজীদসহ অবস্থান করছিলেন। তখন দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন যুবক ফিল্মি স্টাইলে এসে শামীমকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় জনগণ ও শামীমের সহযোগীরা তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি মোটরসাইকেল ফেলে চলে যায়। এসময় এই কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া ফরিদপুরের কোয়েলকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

এদিকে আটক কোয়েলকে জনতা গণধোলাই দিলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

প্রত্যক্ষদর্শী পৌর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ সজল বলেন, “সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাত ১০টার দিকে আমি, শামীম ও বায়েজীদসহ বেশ কয়েকজন ওখানে বসে বিভিন্ন আলোচনা করছিলাম। তখন হঠাৎ করেই দুটি মোটরসাইকেলে ওরা ছয়জন এসে আমাদের সামনে দাঁড়ায়। ওদের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। সে বলে এই যে, ওটাই শামীম। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা শামীমসহ আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২/৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তখন আমরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করি এবং শামীম শুয়ে পড়ে। তাদের ছোঁড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের ধাওয়া করলে একটি মোটরসাইকেল রাখী হোটেলের সামনে ফেলে ওরা সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু গুলি করার সময় আমি একজনকে দেখে চিনতে পারি এবং সে রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিক জনসাধারণের মতো হেঁটে যাচ্ছিল। আমাকে দেখে তার হাতে থাকা রিভালবার ফেলে দেয় তখন তাকে আমি ধরে ফেলি। তখন রিভালবারটা আমি হাতে নিয়ে অস্ত্রসহ তাকে পুলিশের হাতে দেই। এটা হত্যার মাস্টারপ্ল্যান ছিল।”

তবে এঘটনায় জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন সুস্থ থাকলেও রাতে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক একজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আটক ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি রিভলবার, ম্যাগাজিন ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপির সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ২০০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেল মুন্সীগঞ্জে, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা