আসিয়ানের যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে থাইল্যান্ডের অনীহা, হতাহত বাড়ছে সীমান্তে

কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার চলমান সশস্ত্র উত্তেজনা প্রশমনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান আসিয়ান চেয়ারপার্সন আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্যোগে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এই সংঘাতের সমাধানে প্রধান শর্ত হলো থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ।' তিনি থাই সরকারের প্রস্তাব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে 'দুঃখজনক' হিসেবে উল্লেখ করেন।
মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে আসিয়ান জোট যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে দুই দেশকে অবিলম্বে সংঘর্ষ থামিয়ে সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থাইল্যান্ড প্রস্তাবটি সমর্থন করলেও পরে তারা অবস্থান থেকে সরে আসে। তবে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি ব্যাংকক।
দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংঘর্ষ এখন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাবর্ষণ ও আর্টিলারি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন, যাদের বেশিরভাগই থাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামো।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা দুই পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। তবে থাইল্যান্ডের সরে দাঁড়ানোয় আসিয়ানের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
উল্লেখ্য, এর আগেও মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকটে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেও উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারেনি আসিয়ান। ফলে, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতেও সংস্থাটির প্রভাবশালী উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মন্তব্য করুন