শরীয়তপুরে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে চোখের পলকে ভবন বিলীন

শরীয়তপুরের জাজিরায় বসতবাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছু ভাঙছে পদ্মা নদী। ভাঙন আতঙ্কে দিশাহারা কয়েক হাজার মানুষ। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে আলম খাঁরকান্দি জামে মসজিদের দ্বিতল ভবন বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ভাঙনকবলিতদের স্থায়ী বসবাসের জন্য খাসজমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নুরউদ্দিন মাঝি বলেন, ‘সকালে শুনি মসজিদে ফাটল ধরেছে। আমরা ছুটে আসি, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট শব্দে পুরো মসজিদটি নদীতে ধসে পড়ে। এমন দৃশ্য দেখে আমরা স্তব্ধ হয়ে যাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের রক্ষাবাঁধ এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। চলতি বছর ছয় দফা ভাঙনে প্রায় ৬৫০ মিটার রক্ষাবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এর ফলে আলম খাঁরকান্দি, ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি, উকিল উদ্দিন মুন্সিকান্দি ও মাঝির ঘাট এলাকার ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৫০টি বসতবাড়ি ইতোমধ্যে পদ্মায় হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মিস তাহসিনা বেগম বলেন, ‘এলাকায় ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে এবং ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
(ঢাকাটাইমস/৬ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন