জিয়াউল আহসানের ব্যবসায়িক অংশিদারও

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আসাদুল ইসলামের শত কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন

সাংবাদিক সামির ফেসবুক পোস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১:৫৫| আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২২:১১
অ- অ+

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম, নিজ এলাকায় ‘কর্নেল আজাদ’ নামে পরিচিত। সামরিক জীবনের পর তিনি এখন রাজনৈতিক পরিচয় তৈরিতে ব্যস্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক বিতর্কিত প্রশ্ন।

স্রেফ রাজনৈতিক রঙ বদলের চেষ্টা নয়—এর পেছনে রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রক্ষার হিসাব।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী:

লে. কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলামের আরেকটি পরিচয় উঠে এসেছে সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে। বর্তমানে জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি লিখেছেন, জিয়াউল আহসানের স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার চেক লেনদেনের নথি রয়েছে, যাতে আসাদুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়া তাদের যৌথ নামে স্বাক্ষরিত দলিলপত্রের পরিমাণ কয়েক কেজির সমান ওজন, যা আমার কাছে রয়েছে৷ যেই ব্যক্তির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ তদন্ত সেল গঠন করে অনুসন্ধান করা উচিত, সেই ব্যক্তি এখন রাজনৈতিক খোলসে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব আমলে নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

সামি পরবর্তীতে আরও একটি পোস্টে লিখেছেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ‘কর্নেল আজাদ’ নামে দুটি ভিন্ন প্রোফাইলের মাধ্যমে নিজেকে বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন আসাদুল ইসলাম। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের অপচেষ্টা নয়, বরং নিজের ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে রক্ষার কৌশল। কিন্তু বিধিবাম! আসাদ, জিয়াউল এবং জিয়াউলের স্ত্রী নুসরাতের শতশত কোটি টাকার সম্পদের প্রায় কেজিখানেক দলিল আমার কাছেই রয়েছে। যা আমি ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। অবিলম্বে এই আসাদুল ইসলাম আজাদের বিষয়ে বিশদ অনুসন্ধান জরুরি।'

প্রবাসী এই সাংবাদিক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সম্প্রতি এক আলোচনায় দাবি করেছেন, জিয়াউল আহসান সরাসরি হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তার সহচর হিসেবে পরিচিত আসাদুল ইসলাম তার কালো টাকার নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আপা আর আসবে না, কাকা আর হাসবে না: এসপি সানতু 
পদ্মার তীব্র স্রোতে ধসে পড়েছে জেটি, ঝুঁকিতে আরেকটি
দেশে স্বচ্ছ ও প্রতিহিংসামুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার বিএনপির: আমিনুল হক 
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেল: সালাহউদ্দিন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা