রিপোর্টার্স ক্লাবে সাংবাদিক পেটালেন সাবেক এমপির ভাগ্নে ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি

সাতক্ষীরার কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের ভেতরে ঢুকে একজন সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ভাগ্নে ও কলারোয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেলের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৫)দৈনিক রূপান্তর পত্রিকার কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া পৌরসভার প্রাণীসম্পদ অফিস মোড়ের রিপোর্টার্স ক্লাবে বসে সংবাদ প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল সেখানে ঢুকে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
জাহিদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি প্রতিবাদ করলে রোমেল তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে রিপোর্টার্স ক্লাব আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় মোস্তফা হোসেন বাবলুসহ একাধিক ব্যক্তি প্রত্যক্ষদর্শী বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি বৈঠক হয়। ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনা ন্যক্কারজনক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং রোমেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।’
কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খালেদ মঞ্জুর রোমেলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রোমেলের বিরুদ্ধে অতীতেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়, লুটপাট ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ রয়েছে। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবারই তিনি দায় এড়িয়ে গেছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, ক্লাবের মতো জায়গাও যদি সাংবাদিক নিরাপদ না থাকেন, তবে কোথায় নিরাপত্তা খুঁজবেন তারা? ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন