জনতার আদালতে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর

বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলা চত্বর ও ২৪ জুলাইয়ের গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছে ছাত্র ও জনতা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ ও ‘জুলাই ঐক্য’র যৌথ আয়োজনে এ প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আয়োজকেরা এটিকে ‘জনতার আদালতের রায়’ বলে দাবি করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের, সাংবাদিক ও সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, জাগ্রত জুলাইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি শামীম হামিদিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রায় ঘোষণা করেন জাগ্রত জুলাইয়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানজিনা ফেরদাউস। প্রতীকী ফাঁসির আগে অভিযুক্তের ‘প্রেশার’ ও ‘হার্টবিট’ পরীক্ষা করেন রায়হান মাদ্রাজী। জল্লাদের ভূমিকায় ছিলেন আলিফ জাওফি, ‘কালেমা’ পাঠ করান জুলাই ঐক্যের মোস্তফা হোসাইন, আর ফাঁসির মঞ্চ নির্দেশনা দেন আজিজ সাইফুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাগ্রত জুলাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কবি মুন্সি বোরহান মাহমুদ।
বক্তারা বলেন, “আজকের এই ফাঁসি প্রতীকী হলেও এটি যেন প্রতীকীতেই সীমাবদ্ধ না থাকে। আমরা জানি, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনি কাঠামো অগোছালো। তাই গণ-আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে আগামী এক বছরের মধ্যে। ৩৬ জুলাই (গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি) আগেই শেখ হাসিনাসহ সব গণহত্যাকারীর বিচার সম্পন্ন করতে হবে।”
এ সময় ‘গণ-আদালতের রায় বাস্তবায়ন করো’, ‘গণহত্যার দায়ে ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে প্রেসক্লাব এলাকা।
(ঢাকাটাইমস/৫ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন