উদ্বেগের বিষয় পলাতক ফ্যাসিস্টদের এখনো অনুশোচনা নেই: রিজভী

ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুন, দমন-পীড়ন, কণ্ঠরোধ, লুটপাট আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি মানুষের হৃদয়ে ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল, তারই প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় জুলাই গণবিস্ফোরণ- এমনই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই গণবিস্ফোরণে ফ্যাসিস্ট সরকার, সংসদ, আদালত, মন্ত্রিসভা ও ধর্মীয় নেতৃত্ব সবাই পালিয়েছে। কিন্তু তাদের মনে আজও অনুশোচনা নেই।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন রূপ নেয় এক অভাবনীয়, অবিনাশী গণঅভ্যুত্থানে, যা ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেয়। গত বছরের জুলাই বদলে দিয়েছে এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরাচারী শাসন, জুলুম-নিপীড়ন ও ভয়ভীতির বিরুদ্ধে সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজ এক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এটি ছিল আত্মপরিচয়ের লড়াই, ন্যায়বিচারের লড়াই—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ১৬ বছরের সংগ্রামের মাইলফলক।’
৫ আগস্ট শুধু একটি সরকারের পতনের দিন নয়, এটি গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের দিন বলে অভিহিত করে রিজভী বলেন, আওয়ামী শাসনের দুঃসহ বাতাবরণে জন্ম নেয়া ছাত্র-জনতার বীরত্বই এই দিনটিকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে তুলেছে।”
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “ভোটাধিকার হরণ, গুম, খুন, দমন-পীড়ন, অর্থনৈতিক লুটপাট, কণ্ঠরোধ আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি মানুষের হৃদয়ে যে ক্ষতের জন্ম দিয়েছে, তারই প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় এই গণবিস্ফোরণ।”
‘এই দিনে ইতিহাস সৃষ্টি হয়—যেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার, সংসদ, আদালত, মন্ত্রিসভা ও ধর্মীয় নেতৃত্ব কেউ-ই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। সবাই পালিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, তাদের মনে আজও অনুশোচনা নেই।’ যোগ করেন রিজভী।
তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সব মত-পথের মানুষ নিরাপদে থাকবে। ৫ আগস্ট হোক গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবিকতার শপথের প্রতীক।’ এই যাত্রায় বিএনপি দেশের সব গণতন্ত্রকামী মানুষের সহায়তা ও সমর্থন কামনা করছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল,স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য(দফতর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন