নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে থাকা উচিত: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জনগণ একটি নিরাপদ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশের কাঠামো রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে এক টেবিলে বসার পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করছে বিএনপি। বাংলাদেশপন্থী ও মধ্যপন্থী দল হিসেবে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সব মত ও পথের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের অর্জন নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও কিছু অর্জন হয়েছে, তবে জনগণের প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির সস্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থায় কিছু সংস্কার হয়েছে, যা ইতিবাচক। বিএনপি ভবিষ্যতের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ভিশনকে সমর্থন করবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গতকাল নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতি এই ধরনের উদ্যোগেরই অপেক্ষায় ছিল। এখন দ্রুত নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘জনগণ একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশের কাঠামো রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন পরিচালনায় তাদের রাখা হলেও মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে থাকা উচিত।’
(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন