২০০৭ সালে বরখাস্ত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

১৮ বছর আগে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরখাস্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের সব সুযোগ-সুবিধা ফেরত দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও চারটি আলাদা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে– এমন অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের চাকরিচ্যুত করে।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ইসিকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছিলেন আপিল বিভাগ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল এবং চারটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।
এই আপিল ও রিভিউর শুনানি নিয়ে আজ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ওই ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন ইসিকে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করে আদালতে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন