নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ নিহত ২, আহত ৪৫

নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা কর্মী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং পুলিশসহ ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর বেশ কয়েকটি জায়গায় কারফিউ জারি করেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার দুপুরে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কয়েক ডজন ভবন এবং যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলে টও তাজা গুলি ব্যবহার করে, যার ফলে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র কুমার আচার্য বলেছেন, তিনকুনে বিক্ষোভকারীরা একটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিলে সুরেশ রজক নামে একজন সাংবাদিক মারা যান। ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি বিক্ষোভের ভিডিও করছিলেন।
হিমালয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের গুলিতে সাবিন মহারজন নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবক মারা যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিক্ষোভের ভিডিওতে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ভবন ভাঙচুর করছে এবং রাস্তায় জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডুর বানেশ্বর-তিনকুনে এলাকা এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে কারফিউ জারি করেছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী শর্মা ওলি শুক্রবার জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডেকেছেন।
২০০৬ সালে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজপথে বিক্ষোভের মাধ্যমে তৎকালীন রাজা জ্ঞানেন্দ্র তার কর্তৃত্ববাদী শাসন ত্যাগ করে গণতন্ত্র চালু করতে বাধ্য হওয়ার দুই বছর পর, ২০০৮ সালে শতাব্দী প্রাচীন রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা হয়।
তারপর থেকে, জ্ঞানেন্দ্র কোনও ক্ষমতা বা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ছাড়াই একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করছেন। জনগণের মধ্যে এখনও তার কিছু সমর্থন রয়েছে কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কম।
(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন