গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা-মানবাধিকার লঙ্ঘনে বাংলাদেশের নিন্দা

ফিলিস্তিনিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা, গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদনও জানানো হয়েছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। গত মাসে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, যা একটি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। স্পষ্টতই, ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়নি এবং পরিবর্তে ক্রমবর্ধমান তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে, যার লক্ষ্য অসহায় ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধন চালানো। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করতে দাবি জানাচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানাচ্ছে যে, তারা যেন নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালন করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলছে, ‘বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিস্তিনি জনগণের উপর সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানায়।’
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন