ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সিরাজদিখানের কামাররা

শাখাওয়াত হোসেন, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৫

ঈদ সামনে রেখে এখন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ১৪টি ইউনিয়ন কামাররা ব্যস্ত দিন পার করছেন দা, বটি, ছুরি তৈরিতে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস টুকরো করতে ধারালো অস্ত্রই একমাত্র ভরসা। এজন্য এ গুলো তৈরি এবং পুরোনোগুলোতে শান দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগরেরা। কাজের ধুম পড়েছে সিরাজদিখান উপজেলার প্রতিটি কামারের দোকানে। এসব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও পছন্দ মত ধারালো সামগ্রী বানাতে ও কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

দিন-রাত পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা। অথচ বছরের অধিকাংশ সময়ই এ শিল্পের লোকজন বলতে গেলে প্রায় বেকার সময় কাটান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা তালতলা, বালুচর, সিরাজদিখান, ইমামগঞ্জ, ইছাপুরা, নিমতলা, সৈয়দপুর, রাজানগর কামার পট্টিসহ ছোটবড় বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রিং ক্রিং, খ্যাচ খ্যাচ শব্দ। এতেই বলে দিচ্ছে চাপাতি, দা, বটি, চাকু তৈরি এবং পুরোনো অস্ত্রে শান দিতে তারা এখন দারুন ব্যস্ত।

তবে বছরের প্রায় সময় কাজ না থাকায় এখানকার অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় মনোনিবেশ করেছেন।

সিরাজদিখান বাজারের সাধন কর্মকার জানান, এখন এসব লোহার জিনিসপত্র বানাতে অনেক খরচ পড়ে। কোরবানি ঈদের মাসখানেক পূর্বেই দা, বটি, ছুরি, ধামা, কুড়াল তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। এ সময় অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়। অতিরিক্ত লোকবল নিতে হয়। ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও চাপাতি সান দেয়ার জন্য কাজের গুণাগুণের ভিত্তি করে ৬০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি দা ২শ টাকা, ছোট ছুরি ৫০ টাকা, বটি ১৫০শ টাকা, চাপাতি ৪০০-৫০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

উপজেলার তালতলা বাজারের কামার পরিমল কর্মকার বলেন, আগে অন্য হাটবাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন লৌহজাত জিনিস বানিয়ে গড়ে ৫০০-৭০০ টাকা রোজগার হতো। ঈদের আগে লোহার অস্ত্রেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ১৫০০ টাকা আয় হয়।

তিনি আরো বলেন, কামারিদের এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :