মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী, নাগরিক সমাবেশ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:২১ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫৮

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকাল দুইটা ৩৯ মিনিটে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছার পরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশ।

জাতীয় সংগীত, ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।

যে স্থানটিতে দাঁড়িয়ে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সেই ভাষণের বৈশ্বিক স্বীকৃতি উদযাপনে সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন মুখর `জয় বাংলা’ স্লোগানে।

জাতির জনকের ভাষণের এ স্বীকৃতি উদযাপনে শনিবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন।

সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিলের গন্তব্য ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা এবং শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়েছেন সেখানে।

বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে মিছিল আসছে। বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে আসছেন অনেকে। তাদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন, অনেকের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ।

সমাবেশের কারণে ওই এলাকায় গাড়ির চাপ কমাতে রূপসী বাংলা হোটেলের মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, জিপিও মোড়, গোলাপ শাহ মাজার, ঢাকা মেডিকেলের মোড় এবং নীলক্ষেত মোড় এলাকায় মিছিলবাহী গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে এই সব স্থান থেকে নেমে হেঁটে যেতে হচ্ছে উদ্যানে।

শাহবাগ থেকে টিএসসি, নীলক্ষেত মোড় থেকে টিএসসি এবং হাই কোর্টের মাজার গেইট থেকে দোয়েল চত্বর এলাকা এখন মুখর মিছিলে মিছিলে।

সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দীতে মঞ্চ বানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সামনে থাকছে আলাদা একটি মঞ্চ।

সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তখন নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান) ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এমএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :