বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই এই আদেশ দেন।
ওই শিক্ষার্থীরা হলেন সাবের আহম্মেদ উল্লাস, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, জাহিদুল হক, নূর মোহাম্মদ, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান ও হাসান। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন ভাটারা থানা এবং অন্য পাঁচজন বাড্ডা থানার মামলার আসামি।
এর আগে গতকাল (১২ আগস্ট) আরও চারজন শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। তারা হলেন, তরিকুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মেদ, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ ও আজিজুল করিম অন্তর।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট মোট ২২ শিক্ষার্থীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৯ আগস্ট তাদের আদালতে হাজিরা করা হলে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, বায়েজিদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, মেহেদী হাসান ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৪ জন বাড্ডা থানা এবং অন্য আটজন ভাটারা থানার মামলার আসামি। তারা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়ার দাবি, গত ৬ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন আসামিরা।
অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদের দাবি, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আসামিরা বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা, জানালা ভাঙচুর করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/মোআ)