‘আনিসুলের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৪৬ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩৩

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম। বলেছেন, ‘ঢাকাকে ক্লিন ও গ্রিন করার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নামে করা হয়েছে। আর গতকাল ওই এলাকায় এই স্মরণসভায় এ কথা বলেন মেজবাহ।

এর আগে ‘আনিসুল হক সড়ক’ এর নামফলক উন্মোচন করেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ‘আধুনিক ঢাকা গড়তে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে গেছেন আনিসুল হক। আমরা শুধু তার পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গেলে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। তাহলে নগরবাসী ডিএনসিসির প্রচেষ্টার সুফল ভোগ করবে।’

সড়কটি আনিসুল হকের নামে নামকরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার সহধর্মিনী রুবানা হক। বলেন, ‘নগরবাসী আনিসের (আনিসুল হক) পাশে ছিল বলেই অতি অল্প সময়ে সে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে। সবার সহযোগিতার মধ্য দিয়েই এ সড়কটিও উন্মুক্ত হয়েছে। এই সড়কটিতে চলাফেরা করার সময় সবাই আনিসকে স্মরণ করবে।’

আনিসুল হকের পুত্র নাভিদুল হক বলেন, ‘বাবার স্বপ্নের কথা সবাই জানেন। তিনি আজ নেই। কিন্তু তার স্বপ্নগুলোকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আনিসুল হকের ভাই সাবেক সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মাদ শফিউল হক, ডিএনসিসির ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নানসহ ডিএনসিসির আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রয়াত মেয়রের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালের এপ্রিলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। ওই বছরের ডিসেম্বরে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কটি দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। বিক্ষোভ ও নানা আপত্তিকে সামলে সড়কটি মুক্ত করে তা দৃষ্টিনন্দন করে চলাচলের উপযোগী করেন।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মেয়র আনিসুল। একই বছরের ১১ ডিসেম্বর করপোরেশনের ২১ তম বোর্ড সভায় মেয়র আনিসুলের নামে সড়কটির নামকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকাটাইমস/০১ ডিসেম্বর/আরকে/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :