সিংড়ায় বিএনপির ৪৮০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক মামলা

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৫

নাটোরে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বজলার রহমান ও সিংড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেনসহ ৪৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলা করেন হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

মামলায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলা, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, এ ধরনের কোনো ঘটনায় নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

মামলায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শাখা, যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বাবু, সাইদুর রহমান সাধু, শফিকুল ইসলাম রমিম, যুবদলের সভাপতি তাইজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-কাফি, বিএনপি নেতা ও পৌরসভার কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক, শহর ছাত্রদলের সভাপতি পলাশ সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দাউদার মাহমুদ সহ বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করতে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের বড় শাঐল এলাকায় যান। এ সময় মিটিংয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস বুদার বাজার এসে প্রায় ১০০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকার প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ছবিসহ নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং কাঠের তৈরি নৌকা ভেঙে ফেলে। অফিসে থাকা চেয়ার-টেবিল ভেঙে তছনছ করে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন মারপিট ও খুন করার হুমকিও দেয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও সেদিন প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।

তবে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা (আ.লীগ) নিজেরাই করে বিএনপি নেতাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ বরং আ.লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :