সুন্দরবনে সাড়ে চার একর এলাকার লতাগুল্ম পুড়ে ছাই

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ মে ২০১৭, ১৮:৩৫| আপডেট : ২৭ মে ২০১৭, ১৮:৩৮
অ- অ+

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনে নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন নিভেছে। দুই দিন চেষ্টার পর শনিবার বিকাল চারটা ২০ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পায় বনকর্মী ও স্থানীয়রা। এর স্থানীয় মানুষ এবং বন বিভাগের কর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার শনিবার বিকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, দুই দিন চেষ্টার পর শনিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের সময় আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে। এখন ওই এলাকার আর কোথাও আগুন বা ধোঁয়া নেই।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, আগুনে নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় সাড়ে চার একর এলাকার লতাগুল্ম পুড়ে গেছে। বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকার প্রায় পৌনে পাঁচ একর এলাকাজুড়ে স্থানীয়দের নিয়ে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম শনিবার বলেন, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। আজ বিকালে আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে। ওই এলাকার আর কোথাও কোনো আগুন বা ধোঁয়া নেই। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখন বন থেকে বেরিয়ে আসছে।

ডিএফও সাইদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামান প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এসিএফ মেহেদীজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। নাশকতা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাসুদুর রহমান সরদার বলেন, আগুনের কারণ জানতে বন বিভাগ তদন্ত করছে। তবে আমরা যতদূর জানতে পেরেছি বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে মধুসহ কোনো ধরনের বনজসম্পদ আহরণের অনুমিত নেই। সেই হিসেবে মধু সংগ্রহকারী বা জেলেদের কারণে আগুন ধরার কথা না। তবে আগুন কী কারণে লেগেছে তা এখনই বলা সম্ভব না।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে বন বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা করবেন বলেও জানান তিনি।

বন বিভাগ জানায়, শুক্রবার সকালে ধানসাগর স্টেশনের ‘নাংলি টহল ফাঁড়ি’র মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় ধোয়ার কুন্ডুলি দেখা যায়। এর আগে গত বছরের ২৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনভুক্ত নাংলী ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী বিলের মিঠা পানির মাছ আহরণ ও জাল পাতার স্থানগুলো পরিষ্কার করতে দুর্বৃত্তরা অন্তত চার থেকে পাঁচ দফায় পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করে।

গত বছর লাগা পাঁচ দফা আগুনের অভিজ্ঞতায় বন সংলগ্ন এলাকার অধিবাসীদের মতো বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তারাও আগুন লাগানো হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/প্রতিনিধি/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইবাদত বন্দেগীতে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত
রূপগঞ্জে গ্যাস নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারে আগুন, শিশুর মৃত্যু
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শনিবার
ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি: ফয়জুল করীম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা