বেতন-ভাতার দাবিতে রূপগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকার বি-ব্রাদার্স নামে পোশাক কারখানায় এ শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।
শ্রমিক, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মৈকুলী এলাকার বি-ব্রাদার্স নামের পোশাক কারখানায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। গত নভেম্বর মাসের বোনাস ও মে-জুন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা দিই দিচ্ছি করে বেশ কয়েক দিন ধরেই ঘুরিয়ে আসছে। দুপুরে শ্রমিকরা বোনাস ও বকেয়া বেতন-ভাতা দাবি করে মালিকপক্ষের কাছে। এসময় মালিকপক্ষ বোনাস ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা কারখানার সামনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময় সড়ক অবরোধ করে উভয় দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এসময় যানবাহন আটকা পড়ে। সড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট লেগে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু করে পথচারী।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে ওসি ইসমাইল হোসেন মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোনাস ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার প্রস্তাব দেন। এসময় বিকালের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে বলে আশ্বাস দেয় মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে সড়ক থেকে সরে গিয়ে পুনরায় কাজে যোগদান করেন।
এ বিষয়ে কারখানার অ্যাকাউন্ট ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা না বুঝেই উত্তেজিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/প্রতিনিধি/জেবি)