‘ভারতে বিদ্বেষ ও বিভাজন চলছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১৫

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ভারতে বিদ্বেষ ও বিভাজন পর্ব চলছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে ঐতিহাসিক ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের কথা স্মরণ করে আজ বুধবার সংসদে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

সোনিয়া বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের কথা মনে রাখতে হবে এবং তা রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। গান্ধীজি সেসময় বলেছিলেন, করো অথবা মরো। তার ওই আহ্বানে গোটা দেশে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সেসময় কংগ্রেস কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। জওহরলাল নেহেরু বহুদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। ইংরেজ শাসকরা কংগ্রেস কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছিল, জাতীয়তাবাদী সংবাদপত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। সত্যাগ্রহীদের ভয় দেখানো ও হুমকি দেয়া হয়েছিল। নারীদের ওপরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তারা আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসেননি।’

সোনিয়া বলেন, ‘আমাদের সকলকে আন্দোলনকারীদের সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা উচিত। সেসময় কিছু লোক ও সংগঠন ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বিরোধিতাও করেছিল। আমার মনে হয় যখন আমরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তি পালন করছি তখন কিছু প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। দেশ কী অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে না? অন্ধকার শক্তি পুনরায় জেগে উঠছে, স্বাধীনতার সময়ের মতো পুনরায় ভয় ছড়ানো হচ্ছে, গণতন্ত্রকে শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।’

কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী এক ন্যায়সঙ্গত ভারতের জন্য লড়েছিলেন কিন্তু আজ সেখানে বিদ্বেষ ও বিভাজনের রাজনীতির মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। প্রকাশ্য স্থানে মতাদর্শ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ কমে যাচ্ছে। আইনের শাসনের মধ্যেও অবৈধ শক্তিকে মজবুত হতে দেখা যাচ্ছে। যদি আমরা স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখতে চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেক দমনকারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস'কে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, সেসময় এমন সংগঠন ও ব্যক্তি ছিল যাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনো অবদান নেই বরং তারা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তারাই আজ স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে।’ আরএসএস বিরোধীরা সবসময়ই অভিযোগ করেন যে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় আরএসএস ইংরেজদের সঙ্গে ছিল।

সূত্র: পার্স টুডে

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :