খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেডিও যোগাযোগের মহড়া চলছে
অ্যামেচার রেডিও অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এআরএবি)-এর উদ্যোগে খুলনায় ‘ডিজাস্টার রেডিও কমিউনিকেশন, ড্রিল ২০১৮’ চলছে। ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলা সদরে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এই মহড়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ জন হ্যাম অংশ নেন।
মহড়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে খুলনা শহরের একটি ভবনের ছাদ থেকে হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে ঢাকার হ্যামদের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। এরপর খুলনা থেকে দুপুরে হ্যামরা উপকূলীয় এলাকা দাকোপ উপজেলায় পৌঁছান। সেখানে পাঁচটি দলে বিভক্ত ছড়িয়ে পড়েন গ্রামে। সেখানে তারা পাঁচটি হ্যাম রেডিও স্টেশন স্থাপন করেন। রেডিও মাধ্যমে টিমগুলো অন্যটিমগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একই সঙ্গে খুলনা শহরের হ্যামদের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দুর্যোগকালে রেডিও যোগাযোগের মহড়া সম্পন্ন করেন।
এই মহড়ার প্রসঙ্গে এআরএবি-এর যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপ কুমার ভৌমিক বলেন, খুলনায় যদি কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে তখন এখানকার টেলিযোগাযোগ বিকল হয়ে যাবে। তখন হ্যামরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে এখানকার প্রকৃত চিত্র রেডিওর মাধ্যমে খুলনা, ঢাকাসহ সারা পৃথিবীর কাছে যাতে তুলে ধরতে পারে, সেজন্য মহড়ার অয়োজন করা হয়।
হ্যাম সংগঠক শামসুল আলম তুহিন বলেন, সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। তখন টেলিফোন, মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। কখনো কখনো বিদ্যুৎ সংযোগও থাকে না। তখন দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ এবং উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। দুর্যোগের অবস্থা নিরূপণ ও উদ্ধার কর্মী প্রেরণ এবং দূর্যোগের সার্বিক তথ্য তুলে ধরার জন্য প্রয়োজন হয় রেডিও যোগাযোগের। তখন সরকারি, আধা-সরকারি বাহিনী, সংস্থার সঙ্গে যোগ দেয় অ্যামেচার রেডিও অপারেটরা। যাদেরকে বলা হয় হ্যাম রেডিও অপারেটর।
দেশে হ্যামদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী এআরএবি সংস্থা নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। যাতে করে হ্যামরা দুর্যোগের সময় হ্যাম রেডিও দিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনার দাকোপে দুযোর্গকালীন হ্যাম রেডিও যোগাযোগের মহড়ার আয়োজন করা হয় বলে জানালেন ব্র্যাক বিশ্ব বিদ্যালেয়ের শিখক ও হ্যাম শামসুল কাওনাইন।
(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/এজেড)