১৪ মামলায় মিলনের জামিন মেলেনি

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সরোয়ার আলমের আদালতে মিলনকে হাজির করে ১৪ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এরপর মিলনকে নেওয়া হয় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশারফ ইউসুফের আদালতে। সেখানেও দুটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত শুক্রবার মিলনকে চট্টগ্রামের চকবাজার থানার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর থেকে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর পর মিলনকে কোর্টে হাজির করে তিনটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে মিলন এসব মামলার মধ্যে সাতটিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল থেকে তিনি মামলাগুলোতে হাজির না হওয়ায় তাকে নতুন করে ওইসব মামলাতেও জামিন চাইতে হচ্ছে। প্রায় তিন বছর আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এবং অনুপস্থিত থাকার পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত এসব মামলায় তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে।

গত রবিবার তার অনুপস্থিতিতে তিনটি মামলার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠান করতে গেলে আদালত তাকে কোর্টে হাজির করে শুনানি অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী গতকাল তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

মিলনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর ভেতর ১৭টিতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটি খুনের। বাদবাকিগুলো চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ-সংক্রান্ত।

মিলন ২০১৫ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপর মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। চলতি নভেম্বর মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেন।

ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/প্রতিনিধি/ ডিএম