দুর্দান্ত জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্ন দেখছে চেলসি
প্রিমিয়ার লিগে তিন ম্যাচ পরে জয়ে ফিরল চেলসি। লিভারপুলের কাছে হার এবং বার্নলি এফসি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র করে একসময় পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারে থাকা অনিশ্চিত করে তুলেছিল দ্য ব্লুজ। অবশেষে ঘরের মাঠে ওয়াটফোর্ডকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এলো চেলসি। পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে হঠকারিতা না করে বসলে আগামী মৌসুমে সারির দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা আটকাবে না।
রবিবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য থাকে। তবে দ্বিতায়ার্ধে ছন্দে ফেরে চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে তারা। লোফটাস-চিক ওয়াটফোর্ডের গোলমুখ খোলার পর ব্যবধান বাড়ান ডেভিড লুইজ ও হিগুয়েইন।
ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে চেলসির রেকর্ড রীতিমতো ঈর্ষণীয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে তারা। সবরকম টুর্নামেন্ট মিলিয়ে স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে শেষ ১২ ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত রয়েছে চেলসি। জিতেছে ৮টি ম্যাচ। ড্র হয়েছে ৪টি। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে একেবারে শেষ ম্যাচে চেলসিকে তাদের ঘরের মাঠে শেষবার হারিয়েছিল ওয়াটফোর্ড।
শুধু প্রিমিয়ার লিগের কথা ধরলে স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে শেষ ছয়টি ম্যাচে চেলসির কাছ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট আদায় করতে পেরেছে ওয়াটফোর্ড। ২০১৫ সালের বক্সিং-ডে ম্যাচে ড্র করা ছাড়া বাকি ৫টি ম্যাচে হার মানতে হয়েছে তাদের।
এদিন ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ডের পাস থেকে চেলসির হয়ে প্রথম গোল করেন লোফটাস-চিক। ৫১ মিনিটে ডেভিড লুইজ ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করেন। তাঁকেও গোলের পাস বাড়ান হ্যাজার্ড। ৭৫ মিনিটে পেদ্রোর পাস থেকে তৃতীয় গোলটি করেন হিগুয়েইন।
ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে ৩৭ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চেলসি। প্রথম দুইয়ে থাকা লিভারপুল ও ম্যান সিটি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহ্যাম শেষ ম্যাচে হারলেও ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। দু’দলকে তাড়া করছে আর্সেনালও। ৩০ ম্যাচে তারা ঘরে তুলেছে ৬৬ পয়েন্ট।
(ঢাকাটাইমস/৬ মে/এসইউএল)