হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেম্বারে
মহেশখালীর শাপলাপুর ইউপি নির্বাচনে বাধা কাটলো খালেকের
নদী দখলের অভিযোগে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেককে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
আদালতের এ আদেশের ফলে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেকর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা কাটলো বলে জানান আইনজীবী নিয়াজ মোরসেদ। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল খালেক বলেন, আমার প্রতিপক্ষ যড়যন্ত্রমূলক আমার বিরুদ্ধে রিট করেছিলো নির্বাচনে হারানোর জন্য।
আদালতে আবদুল খালেকের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী শেখ মো. মোরশেদ। তাকে সহযোগিতা করেন নিয়াজ মোরসেদ।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী নিয়াজ মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল খালেককে নির্বাচন থেকে তিন মাস বিরত রাখতে হাইকোর্টের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আবদুল খালেকের নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইলো না।
গত ২৭ নভেম্বর বুধবার খালেকের বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ এনে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন মাসের জন্য আব্দুল খালেককে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেন।
খালেকের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদনে বলা হয় নদী দখলের কারণে নদী কমিশনসহ তিনটি তালিকায় অ্যাডভোকেট আবদুল খালেকের নাম রয়েছে। স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও নির্বাচনে তার প্রার্থীতা বৈধ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলেও নির্বাচন কমিশন আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তা হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থি। পরবর্তীতে এ ইস্যুতে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী নুরুল হক হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে আবদুল খালেককে নির্বাচন থেকে তিন মাসের জন্য বিরত রাখতে নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির এক রায় অনুসারে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ থাকলে জাতীয় বা স্থানীয় সব ধরনের নির্বাচনের জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
ঢাকাটাইমস/২৮ নভেম্বর/এআইএম/ইএস