তাদের ধর্ম ভিন্ন, কাজ অভিন্ন
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দুই নায়িকা নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। পেশাগত কাজের বাইরে তারা খুব ভালো বন্ধু। এ কথা গোটা টলিউডই জানে। নুসরাতের পারিবারিক সকল অনুষ্ঠানে যেমন মিমিকে দেখা যায়, তেমনি মিমির বাড়ির সব অনুষ্ঠানেও বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হন নুসরাত। দুই নায়িকা দুই ধর্মের। নুসরাত জন্মগত ভাবে মুসলিম, আর মিমি হিন্দু। এছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য নেই।
মিমি-নুসরাত নিজেদের ধর্ম যেমন পালন করেন, তেমনি অন্য ধর্মের উৎসবেও উৎসাহের সঙ্গে যোগ দেন। মুসলিম হিসেবে নুসরাত নামাজ-রোজা এবং ইসলামের অন্যান্য রীতি নীতি পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন, আবার হিন্দুদের পূজা, হোলি, খ্রিষ্টানদের বড়দিন অন্য ধর্মের নানা উৎসবেও শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেন না। বাড়িতে বা উৎসবস্থলে গিয়ে সেসব অনুষ্ঠানে যোগও দেন। মিমিও তার ব্যতিক্রম নন।
তাদের মধ্যে আরও একটি মিল হলো, দুজনেই গত বছর প্রথমবারের মতো একই দল অর্থাৎ তৃণমুল কংগ্রেসের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নুসরাত জাহান বিপুল ভোটে জেতেন মুসলিম অধ্যুষিত বসিরহাট আসন থেকে আর মিমিও বড় ব্যবধানে জয় পান হিন্দু অধ্যুষিত যাদবপুরের আসন থেকে। তারা দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অত্যন্ত স্নেহভাজন।
সম্প্রতি রমজান মাস উপলক্ষে নুসরাত জাহান তার সংসদীয় এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্রম ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্যপণ্য বিতরণ করেন। শিগগির বসিরহাটের সাধারণ জনগণের জন্যও ত্রাণ পাঠানো হবে বলে জানান। মিমিও তার আসনের রাজপুর ও সোনারপুর এলাকার ২০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রতিবার তিনি এসব মানুষদের সঙ্গে ইফতার করেন। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে পারছেন না।
এই দুই নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বেশ সক্রিয়। প্রায় তারা নানা মুহূর্তের ছবি টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। সেখানে মাঝে মাঝে দেখা যায় তাদের একসঙ্গে তোলা অনেক ছবিও। বয়সের সংখ্যায়ও মিমি-নুসরাতের মধ্যে কোনো তফাত নেই। দুজনে অভিনয় জগতেও এসেছেন খুবই কাছাকাছি সময়ে। অভিনয় দিয়ে টলিউডে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন। এখন আলো ছড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠেও।
ঢাকাটাইমস/০৩মে/এএইচ