এই কঠিন সময়ে পরিবারই জিতের শক্তি

বিনোদন ডেস্ক
| আপডেট : ৩০ মে ২০২০, ১০:৪৭ | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২০, ১০:৩৪

করোনা, লকডাউন- এসবের মধ্যেই সাইক্লোন আম্পনের হানা। সব কিছু লণ্ডভণ্ড। বিপর্যয় বোঝে না কে তারকা আর কে সাধারণ মানুষ। তাইতো আম্পন ক্ষত রেখে গেছে কলকাতার আলিপুরে টলিউড সুপারস্টার জিতের সাজানো বাড়িতেও। পর্দায় তিনি হিরো, অসম্ভবকে সম্ভব করেন। কিন্তু সাইক্লোনের রাতে পানি ঢুকেছিল তার বাড়িতেও।

নায়ক বলেন, ‘সত্যিই ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। ভাবতে পারিনি এ রকম কিছু হতে পারে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে লিফট আর হোম থিয়েটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন অবশ্য ঠিক হয়ে গেছে। তবে এসব নিয়ে ভাবছি না। এটুকু ক্ষতি কিছুই না। সারা রাজ্যের যা অবস্থা, দেখে শিউরে উঠছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, সবকিছু যেন তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়।’

ঝড়ের কারণে দুদিনের জন্য জিতের প্রতিদিনকার রুটিন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ছন্দে ফিরেছে। নিয়ম মেনে চলতে তিনি বরাবরই ভালোবাসেন। প্রতিদিন এক্সারসাইজ, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া। এখনও যৌথ পরিবারেই থাকেন জিৎ। মা-বাবা, দুই ভাই, তাদের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে। প্রতিদিন বিকালে তারা তিন ভাই ও ভাইপো মিলে ফুটবল খেলেন।

এ প্রসঙ্গে জিৎ বলেন, ‘দিনের এই সময়টা খুব এনজয় করি। তবে আপাতত খেলা বন্ধ। এক ভাইয়ের চোট লাগায় আমাদের চারজনের টিম তিনজনের হয়ে গেছে। তারপর সন্ধ্যাবেলা জিম, কখনও ছাদে হাঁটা, এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে। তার মধ্যে আবার নিজেদের মন ভালো রাখারও চেষ্টা চলছে।’

অভিনয় নিয়ে তুমুল ব্যস্ত জিৎ পরিবারকে সময় দেয়ার সুযোগ খুব একটা পান না। লকডাউন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। নায়কের সাত বছরের মেয়ে নবন্যা বাবাকে বানিয়েছে তার খেলার সাথী। জিতের কথায়, ‘এমনিতে নবন্যা অন্য চার কাজ়িনের সঙ্গে খেলতে বেশি ব্যস্ত থাকে। এখন আমিও ওর পার্টনার। নবন্যার সঙ্গে মাঝেমাঝেই বোর্ড গেম খেলি। পাশাপাশি ওর অনলাইন পড়াশোনাও চলছে।’

অভিনেতা এও জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তিনি ঘরের টুকটার কাজও করেন। জিৎ বলেন, ‘এটা কিন্তু মিথ্যা নয়। আমার স্ত্রী মোহনা সেসবের একটা ভিডিও বানিয়ে রেখেছে। আসলে ঘরের কিছু কিছু কাজ আমি অভিনয়ে আসার আগেও করতাম, এখনও করি। সিনেমায় তো আমাদের কত কাজ করতে হয়। তাছাড়া বাড়িতে আমার রান্নার দারুণ ডিমান্ড রয়েছে।’

জিৎ তার স্ত্রী মোহনার সঙ্গেও এতটা সময় আগে কখনো কাটাননি। নায়ক বলেন, ‘দুজনে একসঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত সিনেমা বা সিরিজ় দেখছি। যেটা আগে কখনোই হত না। সকালে মেয়ে নবন্যাকে স্কুলের জন্য তৈরি করার জন্য মোহনাকে খুব ভোরে উঠতে হত। আমিও উঠে পড়তাম। এখন অবশ্য সে সব কোনো তাড়া নেই। ধীর গতিতে সময়ও কেটে যাচ্ছে।’

একান্নবর্তী পরিবারে মা-বাবা, ভাইদের সঙ্গে মিলেমিশে করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও কখনো একাকিত্ব বোধ করেননি জিৎ। গোট বিশ্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎই যেখানে অন্ধকার, সেখানে জিতের মতো একজন অভিনেতা-প্রযোজক নিশ্চিন্তে থাকতে না পারাটাই স্বাভাবিক। তবে জিৎ পজিটিভ আছেন। কারণ তার পাশে পরিবারের সবাই রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/৩০মে/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :