‘দুই দেশের সম্পর্ক বাণিজ্য ব্যয় হ্রাসে সহায়তা করবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২০, ১৯:১৮
অ- অ+

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দুর্দান্ত পর্যায় এবং রেল ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে উভয় দেশ কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক যোগাযোগ পদক্ষেপের ফলে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদারিত্ব কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ বিষয়ক ওয়েবিনারে অংশ তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।

হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশের ফলে উভয় দেশই কেবল বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলোও ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।’

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ বিষয়ক এই ওয়েবিনারের আয়োজননে শতাধিক নেতারা অংশ নেয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ভারতীয় হাইকমিশনার।

রীভা গাঙ্গুলি তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে প্রবর্তিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের প্রতি আলোকপাত করেন।

হাইকমিশনার বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে রচিত- অর্থনীতি, অবকাঠামো, প্রযুক্তি-চালিত ব্যবস্থা, তরুণ জনগোষ্ঠী এবং চাহিদা। ২১ ট্রিলিয়ন টাকার একটি উদ্দীপক প্যাকেজ অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কুটির শিল্পগুলোকে সহায়তা করবে, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে উৎসাহ দেবে, বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং ভারতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি ত্বরান্বিত করবে।’

রীভা গাঙ্গুলি বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত এমন শিল্প ও খাতকে চিহ্নিত এবং প্রচার করবে যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক আকার ধারণ করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং সম্ভাবনাময়। এটি ভারতকে অংশীদার দেশগুলোর সহযোগিতায় বৈশ্বিক মান শৃঙ্খলের অংশ হতে সহায়তা করবে।’

এটি ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির বিশাল সুযোগ উন্মুক্ত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।

এ সময় হাইকমিশনার তৃতীয় দেশগুলোতে রপ্তানির পাশাপাশি সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগের সুযোগগুলো অনুসন্ধান করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ যেসব নতুন সুযোগ পেয়েছে তা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে ভারত ও বাংলাদেশে বিনিয়োগের বড় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।’

এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তার বক্তব্যে শক্তিশালী বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও বিনিয়োগ, সংহতি, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

ওয়েবিনারে প্রাণ গ্রুপ, ইফাদ গ্রুপ, এসবিআই বাংলাদেশ, ইন্দোফিল এবং শর্থী এন্টারপ্রাইসের শিল্প নেতারা বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন সুযোগ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এনআই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত
ঢাকাসহ দেশের ৭ জেলায় ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
‘ধামাকা শপিং’-এর চেয়ারম্যান এম আলীকে ধরে থানায় দিল জনতা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা