পিছু হটলো ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২০, ২২:১৬ | প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট ২০২০, ২২:০১

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) নাম পরিবর্তন এবং প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা বাদ দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সমালোচনার মুখে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম বাংলায় রূপান্তরের উদ্যোগ থেকেও পিছু হটেছে ইসি।

সোমবার নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এক সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘নির্বাচন আইন ২০২০’ এর খসড়া কমিশন পর্যায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইনটিসহ গত সপ্তাহে কমিশন পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন-২০২০’ এর খসড়ায় স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম ও তার পদগুলোর নাম বাংলায় রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল কমিশন। আইন দুটি বাংলায় উন্নয়ন করতে গিয়ে ইসি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও তার পদগুলোর বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছিল, যা অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য।

শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করে আসছিল।

কমিশন ইউনিয়ন পরিষদের নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লি পরিষদ, পৌরসভার নাম পরিবর্তন করে ‘নগর সভা' আর সিটি করপোরেশনের পরিবর্তে ‘মহানগর সভা'করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাবও করেছিল ইসি। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের স্থলে ‘পল্লি পরিষদ প্রধান', পৌরসভার মেয়রের পদবি পরিবর্তন করে ‘পুরাধ্যক্ষ' আর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদবি পরিবর্তন করে ‘মহানগর আধিকারিক’ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যান যথাক্রমে ‘উপজেলা পরিষদ প্রধান ও উপপ্রধান’ করার প্রস্তাব হয়েছিল। কিন্তু সোমবারের বৈঠকে আবাসন কমিশনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আইন দুটি বাংলায় করলেও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম এবং পদের নাম প্রচলিত ইংরেজি শব্দটি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আইন বাংলায় করলেও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম এবং পদের নাম প্রচলিত শব্দই রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ এই আইনের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনে প্রতিষ্ঠান এবং পদের নাম যেভাবে আছে সেটা এখানে থাকবে।’ এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের নাম ইউনিয়ন পরিষদ থাকছে বলেই তিনি উল্লেখ করেন।

নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব থেকে সরে আসা ইসির দুর্বলতা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিষয়টি তা নয়। এটি প্রস্তাব পর্যায় হয়েছে। আইনের অনেক ধাপ রয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হবে। সব শেষে জাতীয় সংসদে একটি পাস হবে। ইসি যা করছে, তার কোনোটিই চূড়ান্ত নয়। যেকোনো পর্যায়ে আরও পরিবর্তন–পরিমার্জন হতে পারে।

মো. আলমগীর বলেন, কিছু সংশোধনীসহ কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। সংশোধনীগুলো যুক্ত করে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।

এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন–সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২–এর নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন–২০২০ করা এবং এই আইন থেকে প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছিল ইসি। তা আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় তা ফেরত পাঠায়। ইসির এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও এর বিরোধিতা করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, নিজের ক্ষমতা নিজে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কমিশনের কোনো ক্ষমতাই খর্ব করা নয়, বরং যা আছে মৌলিক, তার সবই ঠিক থাকবে। আরপিওর মৌলিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু বাংলায় করা হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বিধিতে রাখতে গিয়ে হয়তো কমিশন আইন থেকে ভুল করে হোক বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে হোক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এটা আইনে থাকবে না, বিধিতে যাবে। আর আইন মন্ত্রণালয় বলেছে যে এটা ‘কোর্টে’র বিষয়। এটি বিধিতে রাখা যায় না। তারা নয়–দশটা বিষয় আইনেই রাখতে বলেছে। যেহেতু আইন মন্ত্রণালয় আইনেই রাখতে বলেছে এটাকে শক্তিশালী রাখার জন্য, তাই আইনেই রাখা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১ আগস্ট/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে: স্পিকার

‘ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না’

গাজায় যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সুন্দরবনের আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে ফের জ্বলে উঠতে পারে

আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আসতে পারে, প্রস্তুত থাকার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান ইউজিসির

তাপজনিত ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ

দেশে ২২ হাজার দক্ষ ধাত্রী প্রয়োজন, আছে ২৫৫৭

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :